পাতা:ভারতীয় প্রাচীন চিত্রকলা.pdf/১৭১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১৫৮
ভারতীয় প্রাচীন চিত্রকলা

পরম্পরাকে একত্র করিয়া যেন একটা অখণ্ড ইন্দ্রিয় কাজ করিতেছে এইরূপ ভাবেই তাহারা গ্রহণ করিয়াছেন। চক্ষুরিন্দ্রিয়ের বেলাও আমরা চক্ষুর্জ্ঞানে অনেক স্তর বিভাগ করিতে পারি। চক্ষু কেবল মাত্র রূপকে গ্রহণ করে রূপের সহিত তৎসমবেত বস্তুকে গ্রহণ করিয়া সেই বস্তুটীকে চেনে, এমন কি উপনীতভানের দ্বারা অন্য ইন্দ্রিয়ের ধর্ম্ম তাহাতে সংক্রান্ত করে অথচ নৈয়ায়িকের ন্যায় যুক্তিপটু দার্শনিক ও এই সমস্ত বিভিন্নজাতীয় ব্যাপারকে প্রত্যক্ষের অন্তর্ভুক্ত বলিয়া মনে করেন। কাজেই এই কথা বলা যাইতে পারে যে কবি প্রতিভা ও চিত্র প্রতিভার মধ্যে আমাদের সমগ্র জীবনের কি এক অজ্ঞাত রহস্যময় সত্যের আভাস পাই। গভীর আকাঙ্ক্ষার মধ্য দিয়া আমরা যাহা সৃষ্টি করি, যাহাকে সুন্দর বলিয়া অনুভব করি যাহাতে আনন্দরসে বিহ্বল হই তাহার প্রতিযোগী বহির্ব্বস্তুকে আমরা অসৎ বা অসত্য কেমন করিয়া বলি। পূর্ব্বেই বলিয়াছি যে যে, ইন্দ্রিয়দ্বারা যাহা গ্রহণ করা যায় তাহার সত্তা বা সত্যত্ব সেই ইন্দ্রিয় দ্বারাই বুঝা যায় অন্য ইন্দ্রিয়দ্বারা তাহার সত্তা বা সত্যত্ব সম্বন্ধে কোনও সংশয় বা পর্য্যনুযোগ করা সম্ভব নয়। প্রতিভা বৃত্তি দ্বারা যে চিত্রের সৌন্দর্য্যকে আমরা চক্ষুরিন্দ্রিয় সহযোগে রেখা বর্ণাদির সহযোগে প্রত্যক্ষ করি সেই সৌন্দর্য্যসৃষ্টিকে বা সৌন্দর্য্যকে আন্তর বলিয়া মানিলেও তাহার বহিঃসত্ত্ব অস্বীকার করিতে পারি না। চিত্রে আমরা যে রেখাদির সন্নিবেশ করি, স্বতন্ত্রভাবে দেখিলে তাহা কেবলমাত্র রেখা বা বর্ণ ছাড়া আর কিছুই নয়, কিন্তু রেখা ও বর্ণাদি লইয়া চিত্রে যে