পাতা:ভারতীয় প্রাচীন চিত্রকলা.pdf/২৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১০
ভারতীয় প্রাচীন চিত্রকলা

এইটুকু মাত্র বলিয়াই বিধিদাতারা ক্ষান্ত হইয়াছেন। বিষ্ণুধর্ম্মোত্তরে লিখিত আছে। (পৃষ্ঠা ৩৩৩)।

“প্রমাণহীনাং প্রতিমাং তথা লক্ষণবর্জ্জিতাম্‌।
আবহিতাঞ্চ বিপ্রেন্দ্রৈর্নাবিশন্তি দিবৌকসঃ॥ ২৩
আবিশন্তি তু তাং নিত্যং পিশাচা দৈত্যদানবাঃ।
তস্মাৎ সর্ব্বপ্রযত্নেন মানহীনাং বিবর্জয়েৎ”॥ ২৪

 ভারতীয় দর্শনশাস্ত্রপাঠে দেখা যায় যে যদিও নানাশাখার নানা দর্শনমতে মানবজীবনের নানা সমস্যার ও তাহা পরিপূরণের চেষ্টা করা হইয়াছে তথাপি আধুনিক জগতে যেমন ব্যক্তিগত জীবনের নানা সমস্যা ব্যক্তিগত উপলব্ধির দিক দিয়া আলোচনা করা হয় সে কালে সেরূপ চলিত না। যাহা কিছু প্রশ্ন উঠিত তাহা সর্ব্বসাধারণ মানবের জন্য। যে কোনও আদর্শ ধরা হইত তাহাও সকলের জন্য। সাধারণ জীবন হইতে ব্যক্তিজীবনের বিশিষ্টতা লক্ষ্য করিয়া সেই বিশিষ্টতার যে সমস্ত বিশেষ বিশেষ দাবী, যে সমস্ত বিশেষ বিশেষ অভিজ্ঞতা ও জটিল সমস্যা তাহার স্বতন্ত্র পর্য্যালোচনা হয় নাই। ভারতীয় শিল্পকলার মধ্যেও সেই রকম, শিল্পী তাঁহার মনের বিশেষ বিশেষ ভাবকে রূপ দিবার চেষ্টা করেন নাই। তিনি যে সমাজে বাস করিতেন সেই সমাজে যে সমস্ত ভাবপ্রবাহ সুপ্রচলিত ছিল তাহাকেই শিল্পের মধ্যে প্রচলিত ইঙ্গিতের ভাষায় প্রকাশ করিতে চেষ্টা করিয়াছেন;