পাতা:ভারতীয় প্রাচীন চিত্রকলা.pdf/২৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
ভারতীয় প্রাচীন চিত্রকলা
১১

কাহারও ব্যবহারিক দক্ষতা বেশী ছিল কাহারও ব্যবহারিক দক্ষতা কম ছিল, কিন্তু পরিকল্পনা হিসাবে ব্যক্তিগত নূতন কল্পনা অতি কমই ছিল। প্রায় কোন শিল্পীই তাহার নাম লিখিয়া রাখিয়া যান নাই। গ্রন্থাদিতেও তাঁহাদের নাম বড় একটা পাওয়া যায় না। যে ভাব তৎকালিক সমাজে লোকের চিত্তের মধ্যে ভাসিয়া বেড়াইত ও সাধকের কল্পনার মধ্যে স্থান পাইত পাথরের মধ্য দিয়া বা রঙের মধ্য দিয়া তাহাকে রূপ দেওয়াই ছিল শিল্পীর কাজ। তথাপি ব্যক্তিগত শিল্পীর হাতে পড়িয়া প্রত্যেক মূর্ত্তির মধ্যেই নানাবিধ অবান্তর বিশিষ্টতা ফুটিয়া উঠিয়া শিল্পীর বিশিষ্টতা অনেক স্থলেই রক্ষিত হইয়াছে। ভারতবর্ষ অতি বিরাট দেশ ও ইহার বিভিন্ন বিভাগে বিভিন্নজাতীয় লোকেরা অতি প্রাচীন কাল হইতে শিল্পসেবা করিয়া আসিতেছে এবং যুগে যুগে মনুষ্যের চিত্তবৃত্তির পরিবর্ত্তনের সঙ্গে সঙ্গেই শিল্পপদ্ধতিরও নানা পরিবর্ত্তন ঘটিয়াছে এবং ভারতবর্ষের প্রত্যেক বিভাগেই সেই সেই দেশের নানাবিধ শিল্পসংস্কার চলিয়া আসিয়াছে। সেই সমস্ত সংস্কারের সহিত ভাবসন্নিবেশ ও ইঙ্গিত সন্নিবেশের প্রক্রিয়া যুক্ত হইয়া ভারতবর্ষের বিভিন্ন বিভাগের বিভিন্ন যুগের শিল্পগুলির নানা বিশিষ্টতা সম্পাদন করিয়াছে।

 গ্রীক শিল্পে ভাস্করের প্রধান উদ্দেশ্যই ছিল এই যে তিনি কেমন করিয়া কঠিন পাথরকে কাটিয়া কাটিয়া একটি মানুষের হুবহু সাদৃশ্য তাহার মধ্যে ফুটাইয়া তুলিবেন। কিন্তু ভারতীয় ভাস্করের প্রধান দৃষ্টি ছিল এইখানে যে তিনি কেমন করিয়া