পাতা:ভারতীয় প্রাচীন চিত্রকলা.pdf/২৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১৬
ভারতীয় প্রাচীন চিত্রকলা

চলিয়াছেন, অপরদিকে বুদ্ধের আসন ও বোধিদ্রুম অঙ্কিত হইয়াছে, এইরূপে বৌদ্ধধর্ম্মের আবির্ভাব বর্ণিত হইল।

 একটি বিরাট্‌ পুরুষ প্রকৃতির সহযোগে যে আপনাকে প্রকাশ করিতেছেন এবং তিনিই যে ওষধি, বনস্পতি ও বিশ্বভুবনকে আবিষ্ট করিয়া রাখিয়াছেন, হিন্দু দর্শনের ইহা একটি সুগৃহীত মর্ম্ম। সেইজন্য দেখিতে পাই যে ভারতীয় চিত্র একদিকে যেমন বৃক্ষলতা, পুষ্প, গিরিনদী, বিহঙ্গ ও চতুষ্পদ জন্তুর সহিত ভারতীয় দেবদেবীদের একটি ঘনিষ্ঠ সম্বন্ধ রহিয়াছে, অপরদিকে তেম্‌নি দেখি যে এই সমস্ত প্রাকৃতিক উদ্ভিদ ও জন্তু চিত্রীরা যখনই আঁকিতে চেষ্টা করিয়াছেন, তখনই সেগুলির সহিত মূল চিত্রের একটি সপ্রাণ যোগ রহিয়াছে। একদিকে আমরা দেখি বিষ্ণু শেষ শয্যায় শায়িত, তাঁহার নাভিকমল হইতে ব্রহ্মার উৎপত্তি, অনন্ত সাগরের মধ্যে অনন্ত নাগ, তাঁহার সহস্ৰশীর্ষ, তিনিই হইলেন শেষ। শেষ বলিতে বুঝা যায় যে আর কাহারও অঙ্গ নহে, যে আর কাহারও ক্রিয়ার্থ নহে, যে সকলের চরম উদ্দেশ্য। একপক্ষে দেখিতে গেলে এই শেষ নাগই ভগবানের দ্যোতক; তাঁহার সহস্ৰশীর্ষের দ্বারা বহুধা বিচিত্র জগৎকে তিনি দর্শন করিতেছেন। কিন্তু এই মূর্ত্তিতেই শেষ পরিকল্পনা নহে, শেষ যে আপনার মধ্যে শেষীকে বিধারণ করিয়া রাখিয়াছে তাহা না দেখাইতে পারিলে শুধু শেষের পরিকল্পনা নিরর্থক হয়। এইজন্য জগতের আদি মানব, আদি মানবীরূপে বিষ্ণু ও লক্ষ্মী তাহার উপর বিরাজ করিতেছেন। শেষিত্ব হইতে গেলেই