পাতা:ভারতীয় প্রাচীন চিত্রকলা.pdf/৩৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
ভারতীয় প্রাচীন চিত্রকলা
২৫

ও ইঙ্গিত তাহার চোখের ভাব, মুখের বর্ণ ইত্যাদির পরিবর্ত্তন ঘটে। শুধু তাহাই নহে প্রভাতে, মধ্যাহ্নে, বৈকালে, এমন কি বোধহয় বিভিন্ন ঋতুতেও মানুষের মুখব্যঞ্জনায় নানা পরিবর্ত্তন লক্ষিত হয়। মানুষের মনোভাবের সহিত তাহার দেহসংস্থান ও মুখব্যঞ্জনার এমন একটি সম্পর্ক আছে যে কোনও ব্যঞ্জনা প্রকাশ করিব না অথচ একটি নিখুঁত মূর্ত্তি আঁকিব বা মানুষের নিখুঁত সাদৃশ্য চিত্রে ফুটাইয়া তুলিব ইহা বোধহয় একরূপ অসম্ভব। এমন কি ফটোগ্রাফিতেও কোন না কোন প্রকারে আস্ফুট মনোভাব চিহ্নিত হয়।

 চিত্রে বা ভাস্কর্যে realism ও idealismএর যে দ্বন্দ্ব অষ্টাদশ শতকে ও ঊনবিংশ শতকে Zola, Courbet, Corot প্রভৃতিরা তুলিয়াছিলেন তাহার অনেকখানি idealism কথার অর্থ উল্‌টা করিয়া বুঝিবার জন্য। Realismবাদের প্রতিশ্রুতি ছিল এই, তাহারা যথাস্থিত-বাদী এবং সকল বস্তু এবং প্রাণীকে যথাস্থিতভাবে অঙ্কিত করিবেন। তাহাদের অঙ্কিত চিত্রের বাহিরে সেই চিত্রের আর কোন অর্থ থাকিবে না। কিন্তু কোন মানুষের চিত্র আঁকিতে হইলে শুধু তাহার শরীরটি আঁকা যায় না, শরীর ছাড়াইয়া তাহার মনেরও খানিক অংশ তাহার মধ্যে প্রকাশ হইয়া পড়ে। কথিত আছে যে একসময়ে Corotর যৌবনে তাহাকে একটি প্রকাণ্ড কুৎসিত গুদাম ধরণের বাড়ী আঁকিতে দেওয়া হইয়াছিল। মালিকের ইচ্ছা অনুসারে তিনি সেই বাড়ীটি যথাযথভাবে