পাতা:ভারতীয় প্রাচীন চিত্রকলা.pdf/৪২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
ভারতীয় প্রাচীন চিত্রকলা
২৯

dormic) সম্বন্ধে এই কথা বলা যায় যে চিত্রটি যথাস্থিতিক হইয়াছে, কিন্তু এ চিত্রটি দেখিলেও Courbet যে model লইয়া ছবিটি আঁকিয়াছিলেন সেই যথাস্থিত বস্তুর কথা একবারও আমাদের মনে হয় না। বর্ত্তুলতার ভাষায় (plastic terms) ও স্থানসন্নিবেশের সম্মিলনে চিত্রের বিষয়টিকে এমন করিয়া প্রকাশ করা হইয়াছে, যে চিত্রকে ছাড়িয়া চিত্রের বাহিরের যে বস্তুর তাহা অনুকৃতি তাহার দিকে আমাদের মন ধাবিত হয় না। চিত্রের সহিত courbetর কল্পনাগত রূপের এমন তাদাত্ম্য সম্বন্ধ রহিয়াছে যে চিত্রও কল্পনার মধ্যে নিমগ্ন হইয়া গিয়াছে। চিত্র দেখিতে দেখিতে আমরা courbetর কল্পনার মধ্যেই যেন ভাসিয়া বেড়াই। কাহার অনুকৃতি, সে অনুকৃতি যথার্থ কিনা সে প্রশ্ন কখনও আমাদের মনের মধ্যে উদিত হয় না। এই জন্যই আমাদের বাধ্য হইয়া বলিতে হয় যে যথাস্থিতিক শিল্পের মধ্যেও কেবল যথাস্থিতিকতা থাকে না, তাহার মধ্যে তদতিরিক্ত আরও কিছু গূঢ় তাৎপর্য্য থাকে।

Richardes তাঁহার Principles of literary criticism-এ বলিয়াছেন যে বীক্ষাবস্থা বা aesthetic stage বলিয়া কোন স্বতন্ত্র মানসিক অবস্থা নাই। তিনি আরও বলেন যে সাধারণ জ্ঞানগত যে সব অনুভূতি আমাদের ঘটে, বৈক্ষিক অনুভূতিও তৎসজাতীয়। কেবলমাত্র সাধারণ অনুভূতিরই একটা বিশেষ পরিণামে বৈক্ষিক অবস্থা উৎপন্ন হইতে পারে, কিন্তু ঐ বৈক্ষিক অবস্থার কোনরূপ বিশেষত্ব বা