পাতা:ভারতীয় প্রাচীন চিত্রকলা.pdf/৪৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
ভারতীয় প্রাচীন চিত্রকলা
৩৫

জাতীয় ভাবপুঞ্জ বা চিন্তাপুঞ্জ খেলা করিতে পারে, এবং চমৎকারিত্ব বিশ্লেষণ করিতে পারিলে উৎপাদকতাবচ্ছেদকের মধ্যে সেরূপ অনেকগুলিরও স্বরূপ ধরা পড়িতে পারে, কিন্তু তথাপি এই চমৎকারিত্বকে একটি বিশিষ্ট ফলীভূত অবস্থা বলিয়া না মানিয়া উপায় নাই; এবং এই হিসাবে প্রযোজক বৃত্তিগুলির লৌকিক স্বীকার করিলেও ফলীভূত চমৎকারিত্বের অলৌকিকতা স্বীকার করিতে হয়, যেহেতু প্রযোজকীভূত বৃত্তিগুলির মধ্যে এই চমৎকারিত্বের সাক্ষাৎ পাওয়া যায় না।

 কোন একটি চিত্রের বৈশিষ্ট্য বিচার করিতে গেলে আমরা এই বিশিষ্ট চমৎকারিত্বের পরিচয় পাই। কোন ছবির কোনও বৃহৎ চিত্তাকর্ষী আখ্যান থাকিতে পারে কিংবা নাও থাকিতে পারে। কোন একটি চিত্র কেবল কালিকলমের রেখায় আঁকা হইতে পারে, কিংবা বর্ণসংঘট্টে সুচারুরূপে চিত্রিত হইতে পারে, কোনও চিত্রে আখ্যানভাগের বৈশিষ্ট্য, বর্ণ ও অকারবিশেষের বৈশিষ্ট্যকে অতিক্রম না করিতে পারে; এসমন্তের কোনটির দ্বারাই চিত্রের বৈশিষ্ট্য সূচিত হয় না। কোন একটি চিত্রকে art হিসাবে বড় বলিতে হইলে দেখিতে হইবে যে তাহার সমগ্রের দ্বারা একটি সমগ্র স্ফুট চৈত্তিক অবস্থা উৎপন্ন হইল কি না। সেই সমগ্র ফুট চৈত্তিক অবস্থা যদি উৎপন্ন হয়, তবে তাহা অবয়বগত বর্তুলাকার দ্বারা সম্পন্ন হইল কি স্থানবিনিবেশের চাতুর্য্যের দ্বারা সম্পন্ন হইল, কি রেখাবিনিবেশের দ্বারা সম্পন্ন হইল, কি আলোছায়ার সংমিশ্রণে, কি বিবিধ রংএর খেলায় সম্পন্ন হইল