পাতা:ভারতীয় প্রাচীন চিত্রকলা.pdf/৫১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৩৮
ভারতীয় প্রাচীন চিত্রকলা

আসিয়া অত্যন্ত ক্রুদ্ধভাবে নানাপ্রকার মুখভঙ্গীর সহিত ইহুদী পুরোহিতেরা যীশুর বিরুদ্ধে অভিযোগ করিতেছে। যীশুখৃষ্টের ঠিক সম্মুখে প্রকাণ্ড স্তম্ভের উপর Caesar-এর বিশাল মূর্ত্তি, আর সৈন্যপরিবেষ্টিত হইয়া দূরে একটি কোণে লাঞ্ছিত অবস্থায় অর্দ্ধ অন্ধকারের মধ্যে যীশুখৃষ্ট দাঁড়াইয়া আছেন। Rembrandt সমস্ত ঘটনাটি পর্যালোচনা করিয়া এই একটি বিশেষ ক্ষণকে কল্পনা করিয়া তাহাকেই চিত্রে দেখাইতে চেষ্টা করিয়াছেন। কিন্তু ভারতবর্ষীয় শিল্পীরা অনেক সময় যে সমস্ত মূর্ত্তি আঁকিতেন, বিশেষতঃ বুদ্ধের, কোন বোধিসত্ত্বের বা কোন দেবদেবীর মূর্ত্তি যখন আঁকিতেন তখন তাহার কোন বিশেষ একটি ভাবের মূর্ত্তিকে না আঁকিয়া বিভিন্নজাতীয় ভাবের সহিত সামঞ্জস্যে যে একটি বিশেষ ভাবকে ধ্যানস্পন্দে প্রত্যক্ষ করিতেন তাহাকেই রূপ দিতে চেষ্টা করিতেন। এইজন্য সেই সমস্ত মূর্ত্তিতে কোন বিশিষ্টক্ষণের কোন বিশিষ্ট ভাব ধরা পড়ে না এবং সেই হিসাবে প্রাকৃতিক ভাবের যথাস্থিতিকত্ব (realistic) হয় না। অথচ নানা বিশেষ ভাবের মধ্যে তাহাদেরই নানাপ্রকার সহযোগ পরম্পরায় যে একটি অবিনাশী বুদ্ধমূর্ত্তি বা বোধিসত্ত্বমূর্ত্তি শিল্পীর সঙ্কল্পগোচর হয় তাহাকেই তিনি রূপ দিয়া থাকেন। এমন কি অনেকগুলি মূর্তি লইয়াও যখন একটি সমবেত সৃষ্টি করা হইত, তখনও একথা বলা চলে না যে তাহারা পৃথক্‌ পৃথক্ ভাবে প্রত্যেক মূর্ত্তিকে একটা স্বতন্ত্রতা দিয়া সেইগুলিকে যথাস্থানে সন্নিবেশিত করিয়া পার্থক্যের ও স্বাতন্ত্রের পরস্পরানুকূলতায়