পাতা:ভারতীয় প্রাচীন চিত্রকলা.pdf/৫৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৪৪
ভারতীয় প্রাচীন চিত্রকলা

১০৪ অঙ্গুলি, রুচক ১০০ অঙ্গুলি ও শশকে ৯০ অঙ্গুলি বলা হইয়াছে। কিন্তু বরাহ-মিহিরে হংস ৯৬ ও শশ, রুচক, ভদ্র ও মালব্যকে তিন অঙ্গলি কম বলিয়া বলা হইয়াছে। চিত্রসূত্রে কথিত আছে যে মানুষের মাথা দ্বাদশাঙ্গুলি। এক অঙ্গুলিতে ১/ ইঞ্চি। এই দ্বাদশাঙ্গুলীতে একটি তাল। জঙ্ঘা দুই তাল—উরু দুই তাল, পেট হইতে নাভি এক তাল, নাভি হইতে হৃদয় একতাল, হৃদয় হইতে কণ্ঠ একতাল, কণ্ঠ তালত্রিভাগ। কর একতাল, বাহু সপ্তদশাঙ্গুলি, কর্ণ দুই অঙ্গুলি, ললাট চারি অঙ্গুলি বিস্তার ও দৈর্ঘ্য অষ্ট অঙ্গুলি। এইরূপে সমস্ত অঙ্গ প্রত্যঙ্গের মাথার পরিমাণে পরিমাণ নির্দ্দিষ্ট হইয়াছে। এই পরিমাণের সহিত Leonardo da Vinci-র প্রদত্ত প্রমাণের সহিত বিশেষ সামঞ্জস্য দেখা যায়। অবশ্য পঞ্চজাতীয় মানুষের মধ্যে অঙ্গপ্রত্যঙ্গের পরিমাণ তাহার মাথার পরিমাণের সাদৃশ্যে বিভিন্ন প্রকার হইবে। স্ত্রীলোকও পাঁচ প্রকার বর্ণিত হইয়াছে এবং পঞ্চজাতীয় পুরুষের অনুরূপ তাহাদের দৈর্ঘ্য পুরুষের স্কন্ধ পর্য্যন্ত হইবে। চুলের বর্ণনায় চিত্রসূত্রে লিখিত আছে যে তিন প্রকার চুল, দক্ষিণাবর্ত্ত, সিংহ-কেশ (curling) ও জুটকেশ। তেমনই চক্ষুও চাঁপাকার, মৎস্যোদর, উৎপল-পত্রাহ, পদ্মপত্রনিভ ও সারাকৃতি এই পাঁচ প্রকার বর্ণিত হইয়াছে। এই একপ্রকার চক্ষু আবার মনের অবস্থাবিশেষে অন্যপ্রকার আকৃতি ধারণ করিতে পারে।—“মৎস্যোদরাকৃতিঃ কার্য্যো নারীনাং কামিনাম্‌ তথা। নেত্রমুৎপলপত্রাং নির্ব্বিকারস্য শস্যতে॥