পাতা:ভারতীয় প্রাচীন চিত্রকলা.pdf/৬৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৫৪
ভারতীয় প্রাচীন চিত্রকলা

আত্মপ্রকাশ করে, কিন্তু শ্রবণেন্দ্রিয়ের বৃত্তির দ্বারা বা কাব্যের অর্থবোধের দ্বারা যে মূত্তিটি গড়িয়া ওঠে তাহাতে রং, রেখা, আলোছায়া প্রভৃতি না থাকিলেও তাহাও যেন চিদাকাশের মধ্যে একটি বিশিষ্টজাতীয় আকার লইয়া গড়িয়া ওঠে। Charles Mauron at pelle tain “The nature of beauty and art” এই বইটির মধ্যে প্রকাশ করিতে চেষ্টা করিয়াছেন। ছবির মধ্যে বা ভাস্কর্যের মধ্যে আমরা একটি বিশিষ্ট বলাকার আকাশকে উপলব্ধি করি। সাহিত্যের মধ্যেও এই জাতীয় একটি আকাশ আমরা অনুভব করি। Mauron বলেন,—“We should, for literature, transpose the ideas of volumes from the domain of space to the domain of spirit and conceive the literary artist as creating psychological volumes.” এই অন্তরাকাশকে বাহাকাশের ন্যায় পূর্ব, পশ্চিম, উত্তর, দক্ষিণ, কি উর্দ্ধ অধঃ প্রভৃতি পর্যায়ের মধ্য দিয়া প্রকাশ করা যায় না সত্য, কিন্তু বাহ্যাকাশের মধ্যে যেরূপ স্থূলতা, সূক্ষ্মতা, গভীরতা প্রভৃতি ধর্ম অনুভূত হয়, অন্তরাকাশে প্রকাশিত ভাবমূর্তির মধ্যেও অনেকটা তজ্জাতীয় রূপের মূর্ত আভাস পাইয়া থাকি; সেইজন্য বাহ্যাকাশের ন্যায় জ্ঞানাকাশ বা চিদাকাশ বলিয়া স্বতন্ত্র আকাশ ভারতবর্ষে স্বীকৃত হইয়াছে। রূপপ্রত্যয়ের সঙ্গে সঙ্গে রূপ ও আকাশের মিথুন সম্বন্ধ যেমন দ্যোতিত হয়, সেই আকাশাবয়বের পরস্পর সম্বন্ধ তেমনভাবে দ্যোতিত হয়। এই আকাশের পরস্পরের বিন্যাসের