পাতা:ভারতীয় প্রাচীন চিত্রকলা.pdf/৭১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৫৮
ভারতীয় প্রাচীন চিত্রকলা

রসের সত্তার মধ্যেই আপন সত্তা বিলীন করিয়া দেয়, তবে সেই অবস্থার সহিত ব্রহ্মাবস্থার আর বড় পার্থক্য থাকে না। এই তত্ত্বটি artএ প্রয়োগ করিতে গেলে দাঁড়ায় এই যে, কোন একটি ব্যক্তি ক্রুদ্ধ হইলে বা শৃঙ্গারাবস্থ হইলে সে ব্যক্তির মুখচক্ষুর কি বিকৃতি হইল তাহা যথাযথ দেখিয়া হুবহু তাহা ফুটাইয়া তোলা শিল্পীর উদ্দেশ্য নহে। ক্রোধ বা শৃঙ্গারের একটি ধ্যানধৃত রূপ আছে, সেই রূপের মধ্য দিয়া এবং সেই রূপের অনুগত বাহ্যিকে আকার ইঙ্গিতের মধ্য দিয়া শিল্পী তাঁহার ক্রোধ বা রতিকে তৎসহচরিত ব্যাভিচারিভাবের সহিত কল্পনা করেন ও সেই রূপের মধ্য দিয়া কোন ব্যক্তির রৌদ্ররস বা শৃঙ্গাররসকে ফুটাইয়া তোলেন। শৃঙ্গারী, বীর, বা রুদ্র কোনও ব্যক্তির ছবি আঁকিবার প্রয়োজন নাই, প্রয়োজন আছে শৃঙ্গার, বীর, বা রৌদ্রকে প্রকাশ করিবার। এইজন্য আমাদের দেশে সকলপ্রকার রাগ রাগিণীর মূর্ত্তি পরিকল্পিত হইয়াছে। এক একটি রাগ রাগিণী চিত্তের মধ্য দিয়া খেলিয়া গেলে তাহাতে চিদাকাশের যে নানা তরঙ্গ ওঠে, তাহার একটি অন্তরস্বরূপ চিদাকাশীয় বর্ত্তুলতায় (psychological volume) অনুভূত হয়, সেই অনুভবকে রংএর ও অবয়বের ভাষায় মূর্ত্তি আঁকিয়া চিত্রী সেই ভাবটিকে চিরন্তনরূপে প্রকাশযোগ্য করিয়া তুলিতে চেষ্টা করেন। কোন একটি ব্যক্তির মনোভাবকে যথাস্থিত অবস্থায় আঁকিতে গেলে মডেলের প্রয়োজন হয়,—দেখা আবশ্যক হয় কিভাবের সঙ্গে মুখশরীরাদির কিরূপ ইঙ্গিত ফুটিয়া ওঠে। সেখানে চিত্রীর