পাতা:ভারতীয় প্রাচীন চিত্রকলা.pdf/৭৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
ভারতীয় প্রাচীন চিত্রকলা
৬১

The indian artist has no right to over-emphasise the structural element of a figure so as to envisage the relation of continuity of life that it holds with the rest of the living world. সংস্কৃত সাহিত্যের মধ্যেও বিশেষতঃ কালিদাসের গ্রন্থগুলিতে এই আদর্শটি বিশেষভাবে ধরা পড়ে। যখনই কোন নারীর রূপ বর্ণিত হইয়াছে তখনই দেখা যায় যে কবি তাহার অবয়বের উপমা খুঁজিতে সর্বদাই প্রাণজগতে, উদ্ভিজ্জগতে ছুটিয়াছেন। চক্ষু কিরূপ? হরিণীর ন্যায়, শফরীর ন্যায়, চকোরীর ন্যায়, চক্রধারীর ন্যায়, নীলোৎপলের ন্যায়, পদ্মপত্রের ন্যায়।—কেশ কিরূপ? চমরীপুচ্ছের ন্যায়, ময়ুরপুচ্ছের ন্যায়। হাত কিরকম? লীলায়িত লতার ন্যায়, মৃণালের ন্যায়। গ্রীবা কিরূপ? মরালের ন্যায়। উরু কিরূপ? কদলীর ন্যায়, করিশুণ্ডের ন্যায়। কাজেই দেখা যাইতেছে যে চিত্রী মানুষের অবয়বের সঙ্গে উদ্ভিদ ও ‘প্রাণীজগতের সঙ্গে' একপ্রাণতার যোগে সাদৃশ্য খুঁজিয়া বেড়াইত। ইউরোপীয় সাহিত্যে এই জাতীয় উপমা অত্যন্ত বিরল। ইয়োরোপীয় সাহিত্যে যে সমস্ত উপমা দেখা যায় তাহা সমগ্রমূলক।—একটি উপমা লওয়। যাউক,—

"A violet by a mossy stone
Half-hidden from the eye !
Fair as a star, when only one
Is shining in the sky.”