পাতা:ভারতীয় প্রাচীন চিত্রকলা.pdf/৮২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
ভারতীয় প্রাচীন চিত্রকলা
৬৯

প্রযোজ্য। Fergusson প্রভৃতিরা যে মত প্রকাশ করিয়াছেন যে, অশোকের পর হইতেই ভারতীয় শিল্পপদ্ধতির অবনতির যুগ আরম্ভ হইয়াছে ইহা বর্ত্তমানকালের অভিজ্ঞ সমালোচকেরা স্বীকার করেন না। সারনাথস্তম্ভে শিরোভূষণরূপে যে সিংহমূর্ত্তিগুলি রহিয়াছে ভাস্কর্য্যনৈপুণ্যে তদানীন্তন কোন দেশীয় শিল্পই তাহাকে অতিক্রম করিতে পারে না—“The Sarnath Capital, on the other hand, though by no means a masterpiece, is the product of the most developed art of which the world was cognisant in the third century B. C.” (Sir John Marshall—the Monuments of Ancient India—Cambridge History of India, Vol. l.P.620). বহুযুগের শিল্পসাধনা না থাকিলে এরূপ ভাস্কর্য সম্ভব নহে। সিংহগঠনের প্রণালীতে তাহাদের বীর্য্য, তাহাদের স্ফীতশিরা ও পেশী ও তাহাদের সজীবতা এমন স্পষ্ট ও স্বাভাবিক হইয়া উঠিয়াছে যে প্রাকৃত সিংহের পর্য্যবেক্ষণ ব্যতিরেকে এরূপ স্বাভাবিক মূর্ত্তি গড়া সম্ভব নহে। কিন্তু শিল্পী সিংহমূর্ত্তিগুলিকে কেবল স্বাভাবিক করিয়াই সন্তুষ্ট হ’ন নাই, সমগ্র স্তম্ভটির সহিত তাহাদের একটি একতানতা সম্পাদন করিয়াছেন। সমগ্রের মধ্যে একটি সম্পূর্ণ সামঞ্জস্য প্রস্ফুট হইয়াছে। কিন্তু অনেকে বলেন যে এই সিংহমূর্ত্তি পারস্যদেশীয় শিল্পীদের সাহায্যে নির্ম্মিত হইয়াছিল এবং সেজন্যই ইহাতে যথাস্থিতির অনুকৃতির দিকে এত দৃষ্টি ছিল। ইহার পরবর্ত্তী কালে গ্রীসীয় চিত্রশিল্পের