পাতা:ভারতীয় প্রাচীন চিত্রকলা.pdf/৮৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৭২
ভারতীয় প্রাচীন চিত্রকলা

চিত্রেও শিল্পী সমগ্র অবস্থানটিকে জীবন্ত করিয়া তুলিয়ছিলেন। সাঁচীর খোদিত মূর্ত্তিগুলির সহিত তুলনা করিলে ভারহুতের খোদিত শিল্পের নিকৃষ্টতা সহজেই প্রতীত হয়। সাঁচীর সর্বোৎকৃষ্ট খোদিত মূর্ত্তিগুলির মধ্যে যেমন রচনাবৈচিত্র্য তেমনি আলোছায়ার সন্নিবেশে বলতার প্রতীতি হয় ও মূর্ত্তিগুলি এমন সজীবভাবে প্রতিভাত হয় যে ভারতীয় আদিশিল্পের একটি শ্রেষ্ঠ নিদর্শন বলিয়া ইহাকে স্বীকার না করিয়া পারা যায় না। এদিকে মধুরাতেও খৃষ্টপূর্ব্ব দ্বিতীয় শতক হইতেই গ্রীসীয় প্রেরণায় ভাস্কর্য্যশিল্প প্রসারলাভ করিতেছিল। গ্রীসীয় শিল্পের প্রসারে এই প্রদেশে ভারতীয় শিল্পের প্রাচীন রীতিপদ্ধতি ও আদর্শ মৃতপ্রায় হইয়া আসিতেছিল; সেইজন্য এইযুগের মাথুরশিল্পের সহিত সাঁচীশিল্পের তুলনা করিলে মাথুরশিল্পের নিকৃষ্টতা সহজেই প্রতিভাত হয়। Sir John Marshall লিখিয়াছেন,—“Dramatic vigour and warmth of feeling which characterise the reliefs of the Sanchi gateways is now vanishing; the composition is becoming weak and mechanical, the postures formal and stilted. The cause of this sudden decadence is not difficult to discover. A little before the beginning of the Christian era Mathura had become the capital of a satrapy either subordinate to or closely connected with the শ্চ্যথ-