পাতা:ভারতীয় প্রাচীন চিত্রকলা.pdf/৯৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৮২
ভারতীয় প্রাচীন চিত্রকলা

metaphysics of the great Indian idealists in the fifth century of an Asanga or a Vasubandhu. (Ibid Page 141-42).

 ইতিপূর্ব্বে প্রসঙ্গান্তরে আমরা মুদ্রার কথা বলিয়া আসিয়াছি। মুদ্রা বলিতে বুঝায় করাঙ্গুলীর বিবিধপ্রকারের সন্নিবেশবৈচিত্র্য। বৌদ্ধশাস্ত্রে, তন্ত্রশাস্ত্রে ও বিবিধ আগমশাস্ত্রে নানাপ্রকারের মুদ্রার কথা উল্লিখিত আছে। শিল্পশাস্ত্রে, নাট্যশাস্ত্রে ও চিত্রশাস্ত্রে তাহাদের উল্লেখ পাওয়া যায়। এই মুদ্রাদ্বারা একদিকে তন্ত্র আগম ও বৌদ্ধশাস্ত্রে নানাপ্রকার মনোভাব, নানাপ্রকার প্রার্থনা বা আশীব্বর্চন প্রভৃতি ইঙ্গিতে দ্যোতিত হইত। অপরদিকে নাট্যশাস্ত্র প্রভৃতিতে ইহারা সৌন্দর্যের বিবিধ ভঙ্গী প্রকাশিত হইত। এই মুদ্রাগুলি একদিকে ছিল দেহলতা বা দেহষ্টির প্রস্ফুটিত কুসুমের ন্যায়, অপরদিকে ইহা যেন দেহযন্ত্রের মধ্য দিয়া হৃদয়তরুর অর্ধপ্রস্ফুটিত কোমল মঞ্জরী। একদিকে ইহা বৃদ্ধি করিত দেহের লাবণ্য অপরদিকে ইহা প্রকাশ করিত হৃদয়ের ভাব। দুই হাতের করাঙ্গুলীকে অসংখ্যপ্রকার বিন্যাসের মধ্যে বিধৃত করা যায়। তাহার মধ্য হইতে যে গুলিতে বিশেষ বিচ্ছিত্তি প্রকাশ পায় এবং সঙ্গে সঙ্গে বাহা দ্বারা হৃদয়ের ভাব ইঙ্গিতের দ্বারা প্রকাশ পায় সেইগুলির সূচনার জন্যই এই মুদ্রাগুলির উদ্ভব। ভারতবর্ষ ছাড়া অন্য কোন দেশে এই মুদ্রা-রীতির এরূপ প্রাধান্য দেখা যায় না। সে যুগের লোক কি ধার্ম্মিক কি শিল্পজ্ঞ সকলেই মুদ্রাগুলির সম্বন্ধে বিশেষভাবে অভিজ্ঞ ছিল। মুদ্রাগুলির বিশেষ