পাতা:ভারতীয় স্মৃতি কথা ও চিত্র - সমরেন্দ্রচন্দ্র দেববর্মণ.pdf/১৩৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

I কেসশ । Neq* ধারী প্রস্তর-নিৰ্ম্মিত পুরুষমূর্তি স্থাপিত আছে। এতদঞ্চল-নিবাসী জনসাধারণ কর্তৃক ইহা “অষ্টাদশভূজা মা” নামে অভিহিত হয়। প্রকৃতপক্ষে এই মূৰ্ত্তি অষ্টাদশভূজা মা হইতে পারে না ; যেহেতু ইহা নারী-মূৰ্ত্তি নহে। উক্ত পুরুষ মূর্তিকে স্থানীয় লোকে কি কারণ বশতঃ যে এবংবিধ নারী-আখ্যা প্রদান করে, তাহার বিশেষ কোন হেতু সহজে উপলব্ধি করিতে পারা यांशू नौ । 象 প্রাগুক্ত অষ্টাদশ ভুজবিশিষ্ট মূর্তির যে আলোক-চিত্র খানি এই পুস্তকে প্রদত্ত হইয়াছে, তাহ পর্য্যবেক্ষণ করিয়া কোন কোন প্রত্নতত্ত্ববিৎ পণ্ডিত ইহাকে বুদ্ধভক্ত অবলোকিতের প্রতিমূৰ্ত্তি বলিয়া অবধারণ করেন। কিন্তু এতদঞ্চল নিবাসী জনসাধারণের ধারণা যে, ইহা কোন শক্তি দেবী বিশেষের প্রতিমূৰ্ত্তি। সম্ভবতঃ—এই ভ্রান্ত বিশ্বাসের বশবর্তী হইয়াই তাহার এই মূর্তির “অষ্টাদশভূজা মা” আখ্যা প্রদান করিয়া থাকিবে। পূর্ববর্ণিত “তারাদেবী” নামে খ্যাত দেব-মন্দিরের উত্তর পশ্চিম কোণস্থিত বিস্তীর্ণ প্রান্তরের মধ্যে, এক মানবের স্কন্ধোপরি আরূঢ় অপর একটা চতুভূজ বিশিষ্ট মানবের প্রকাণ্ড প্রস্তর-নিৰ্ম্মিত মূর্তি অবস্থিত। পল্লীনিবাসিগণ কর্তৃক ইহা “কুবের মূৰ্ত্তি” নামে অভিহিত হয়। প্রকৃতপক্ষে ইহু কুবেরের মূৰ্ত্তি কিনা—এই বিষয়ে সন্দেহ জন্মিলেও, বাস্তবিক ইহা যে উক্ত দেবের প্রতিমূর্তি, তাহার সম্ভাবনাই অধিক। কারণ—যক্ষ-রাজের নাম নিচয়ের মধ্যে “নরবাহন”ও অন্যতম, এবং বর্ণিত মূৰ্ত্তিও তদ্রুপ । কুবের নামে অভিহিত মূৰ্ত্তিটা যে প্রান্তরের মধ্যে অবস্থিত সেই প্রান্তরে উক্ত মূৰ্ত্তি হইতে নূ্যনাতিরেক পঞ্চাশৎ হস্ত দূরে, প্রায় দুই হস্ত আয়তনের আর একটা প্রস্তর-নিৰ্ম্মিত-মূৰ্ত্তি নিপতিত রহিয়াছে। ইহা এবংবিধ দুর্দশাপন্ন হইয়াছে যে, ইহার অবস্থা পৰ্য্যবেক্ষণ করিয়া মূৰ্ত্তিটা যে অতি প্রাচীন তাছা স্পষ্টই উপলব্ধ হয়। বর্ণিত মূর্তি হইতে প্রায় শত হস্ত দূরে প্রান্তরের মধ্যবর্তী এক পয়ঃপ্রণালীর অপর পার্থে, একটা বিষ্ণু-মন্দির প্রতিষ্ঠিত আছে। ইহার সমীপে