পাতা:ভারতীয় স্মৃতি কথা ও চিত্র - সমরেন্দ্রচন্দ্র দেববর্মণ.pdf/১৮৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কৌশল্পী హిvకలి অর্থ প্রদান পূর্বক বশীভূত করিয়া উক্ত নাটিকা খানি স্বীয় নামে প্রচার করেন । বৎস্যরাজ উদয়নের প্রণয়ঘটিত বিষয় অবলম্বন পূর্বক বিরচিত “প্রিয়দর্শিকা” নামক প্রসিদ্ধ আর একখানি নাটিকা বর্তমান আছে। ইহাও শ্ৰীহৰ্ষদেব কর্তৃক বিরচিত এইরূপ কথিত হয় । উল্লিখিত গ্রন্থনিচয়ে বৎস্যরাজ উদয়নের যে সমস্ত প্রণয়-কাহিনী বর্ণিত আছে এই কৌশাম্বীপুরীই তাহার লীলাভূমি। তদীয় রাজত্বকালে এই প্রদেশে যে এক সমৃদ্ধিশালী নগরী ছিল, ইহা প্রাগুক্ত গ্রন্থ সমুদয়ের বর্ণনা হইতে জ্ঞাত হওয়া যায়। খৃষ্টীয় পঞ্চম শতাব্দীর চৈনেয় পরিব্রাজক ফাহিয়েন কর্তৃক লিখিত তদীয় ভ্রমণ বৃত্তান্তে বর্ণিত আছে যে, গোচির নামক তৎকাল প্রসিদ্ধ ' কৌশাম্বীর উদ্যান-মধ্যস্থিত বিহারে একদ বুদ্ধদেব অবস্থান করিয়াছিলেন ; এবং উক্ত চৈনেয় পরিব্রাজক কর্তৃক তদঞ্চল পরিদর্শনকালে উল্লিখিত বিহারে হীনযান বৌদ্ধ ভিক্ষুগণ বাস করিতেন। উদ্যানটা সিংহলদেশীয় । বৌদ্ধ গ্রন্থে “গোশিখ” নামে উল্লেখ আছে বলিয়। জ্ঞাত হওয়া যায় । পালি ভাষার বৌদ্ধধৰ্ম্মগ্রন্থে এইরূপ লিপিবদ্ধ আছে বলিয়া শ্রীতিগোচর হয়—কৌশাম্বী নিবাসী “গোশির”, “কুকুট” ও “পাবরিক” নামক বৈশ্বশ্রেষ্ঠাত্রয় বুদ্ধদেবকে এই স্থানে আগমন পূর্বক চাতুৰ্ম্মাস্য ব্রত পালন করিবার নিমিত্ত শ্রাবস্তী হইতে নিমন্ত্রণ করিয়া আনয়ন করেন। তৎকালে র্তাহার অবস্থানের জন্য যে বিহার উক্ত তিন ব্যক্তি কর্তৃক নিৰ্ম্মিত হইয়াছিল, সম্ভবতঃ সেই বিহারই ফাহিয়েন কর্তৃক গোচির ও সিংহল দেশস্থ বৌদ্ধগ্রন্থে “গোশির” নামে উল্লিখিত হইয়া থাকিবে। প্রাগুক্ত দুই বিষয় ব্যতিরেকে উল্লিখিত চৈনেয় পরিব্রাজক কর্তৃক কৌশাম্বীর সম্বন্ধে আর কিছু বর্ণিত হয় নাই। ইহাতে কোন কোন ব্যক্তি এইরূপও অনুমান করেন যে, ফাহিয়েন এই স্থানে আগমন না করিয়া কেবল