পাতা:ভারতীয় স্মৃতি কথা ও চিত্র - সমরেন্দ্রচন্দ্র দেববর্মণ.pdf/১৮৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

:్స8 I কৌশলী লোকমুখে অবগত হইয়াই ইহার বিষয় তদীয় ভ্রমণবৃত্তান্তে লিপিবদ্ধ করিয়াছেন। । . . . . . . . ৬৪৪ খৃষ্টাব্দে খ্যাতনামা নৃপতি হৰ্ষবৰ্দ্ধনের কাস্যকুজে রাজত্ব করিবার কালে চীন দেশীয় পরিব্রাজক হিউ এনৎসেঙ্গ ভারতবর্ষের নানাদেশ পরিভ্রমণ পূর্বক এক ভ্রমণ বৃত্তান্ত লিপিবদ্ধ করেন । তাহাতে উল্লেখ আছে যে, বুদ্ধদেবের জীবদ্দশাতেই কৌশাম্বীর অধিপতি রাজা উদয়ন রক্তচন্দন কাষ্ঠের এক বুদ্ধমূৰ্ত্তি প্রস্তুত করাইয়৷ তদীয় প্রাসাদের মধ্যস্থিত এক প্রস্তর মন্দির মধ্যে প্রতিষ্ঠিত করেন। উক্ত মূৰ্ত্তি অধিকার করিবার জন্য উজ্জয়িনীর অধিপতি রাজা চণ্ডপ্রদ্যোত ও নৃপতি উদয়নের মধ্যে যে তুমুল সংগ্রাম হইয়াছিল বলিয়া কথিত আছে,—ইহাও হিউএনংসেঙ্গের ভ্রমণবৃত্তান্তে দৃষ্ট হয় । এতদ্ব্যতীত নিম্নলিখিত বিষয় সমুদয় উক্ত ভ্রমণবৃত্তান্তে বিবৃত আছে । বর্ণিত রক্তচন্দন কাষ্ঠনিৰ্ম্মিত বুদ্ধমূৰ্ত্তি যে মন্দির-মধ্যে প্রতিষ্ঠিত ছিল, হিউএনৎসেঙ্গ এইস্থানে আগমন করিয়া তাহ দেখিতে পান। ইহার দক্ষিণে প্রাগুক্ত গোশির নামক বৈশ্বের গৃহাদির ভগ্নাবশেষ এবং নগরের অল্প দূরে দক্ষিণদিকে তদীয় পৌত্র নিৰ্ম্মিত বিহার অবস্থিত ছিল। সম্রাট অশোক নিৰ্ম্মিত দুইশত ফিট উচ্চ এক স্তুপের নিকট যে আর একটা স্তুপ স্থাপিত ছিল, তাহাতেই বসুবন্ধু কর্তৃক “বিদ্যাসিদ্ধিশাস্ত্র” এবং ইহার দক্ষিণ দিগ বৰ্ত্তী আম্রকাননে অসঙ্গ কর্তৃক “প্রকরণ বাক্যশাস্ত্র” নামক গ্রন্থ বিরচিত হয়। o উক্ত চৈনেয় পরিব্রাজক হিউএনৎসেঙ্গের কৌশাম্বী পরিদর্শনকালে এই স্থানে পঞ্চাশৎ শ্ৰীসম্পন্ন হিন্দুদেবমন্দির ছিল—কিন্তু দশটমাত্র জীর্ণদশ গ্রস্ত বৌদ্ধবিহার দৃষ্ট হয় বলিয়া তিনি আক্ষেপের সহিত উল্লেখ করিয়াছেন। ইহাতে অনুভূত হয় যে, তৎকালে এই অঞ্চলে বৌদ্ধধৰ্ম্ম ক্রমে অবনতি প্রাপ্ত হইয়া হিন্দুধর্মের পুনরুত্থান হইতেছিল। " সুপ্রসিদ্ধ নৃপতি হৰ্ষবৰ্দ্ধনের রাজত্বকাল হইতেই কৌশাম্বী অবনতিমুখে ধাবিত হইতে আরম্ভ করে বলিয়া অবগত হওয়া যায়। ৬৪৮ খৃষ্টাব্দে