পাতা:ভারতীয় স্মৃতি কথা ও চিত্র - সমরেন্দ্রচন্দ্র দেববর্মণ.pdf/১৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

в বরুণী গড় । * * আগমন পূর্বক উল্লিখিত শক্রগণের অশ্বসাদী ও পদাতিক সৈন্যের অগম্য অরণ্য মধ্যে বরুণী পৰ্ব্বতের প্রান্তদেশে বরুণী গড় নামক দুর্গ নিৰ্ম্মাণ করিয়া রাজধানী প্রতিষ্ঠিত করেন। তৎকালাবধিই তাহার পরবর্তী রাজগণ উৎকলাধিপতি নামের পরিবর্তে খুরধ-রাজ বা খুরধার রাজা নামে পরিচিত হইতে লাগিলেন । রাজ রামচন্দ্র উৎকল রাজদণ্ড ধারণ করিয়া নানাবিধ সৎকার্য্যের অনুষ্ঠান করেন। তিনিই কালাপাহাড় কর্তৃক বিধ্বস্ত মন্দিরাদির সংস্কার করিয়া জগন্নাথদেবের নষ্টাবশিষ্ট কলেবর নবীভূত করতঃ মহাসমারোহে । পুরীর মন্দিরে পুনঃ প্রতিষ্ঠিত করেন। সেই সময়াবধিই জগন্নাথদেবের কলেবর-পরিবর্তন প্রথা প্রচলিত হইয়াছে। প্রকৃতপক্ষে উৎকলের হিন্দু স্বাধীনতার অবসান রাজা হরিচন্দন মুকুন্দদেবেরই সহিত হইয়াছে বলিলেই চলে ; তথাপি র্তাহার পরবর্তী রাজগণের যৎসামান্য স্বাধীনতা যাহা ছিল তাহা কোনরূপে রক্ষা করিয়া র্তাহাদিগের পরবর্তী কয়েক পুরুষ এই স্থানে রাজত্ব করিয়াছিলেন । কিন্তু রাজা দ্বিতীয় মুকুন্দদেব দুর্বদ্ধিবশতঃ বৃটিশরাজের বিপক্ষে দণ্ডায়মান হইলে সেই স্বাধীনতাও বিলুপ্ত হয়। ১৮০৪ খ্ৰীষ্টাব্দে এই প্রদেশের শেষরাজ উল্লিখিত দ্বিতীয় মুকুন্দদেব ইংরেজ রাজের বিরুদ্ধে মহারাষ্ট্রীয়গণের সহিত ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হইলে তাহার সহিত বৃটিশরাজের তুমুল সংগ্রাম আরম্ভ হয়। যুদ্ধপ্রারম্ভে উৎকলসৈনিকের এরূপ বীরত্ব প্রদর্শন করিয়াছিল যে তাহাদিগের আক্রমণ সহ্য করিতে অক্ষম হইয়। বৃটিশ সৈনিকগণকে খুরধার নিকটবর্তী পিপ্পলী গ্রাম পৰ্য্যন্ত পশ্চাৎপদ হইতে হয়। অবশেষে আরও একদল সৈন্য আগমন পূর্বক বিতাড়িত ইংরেজ সৈন্যকে সাহায্য করিলে, উভয়দল একত্র হইয়া প্রচণ্ডবেগ রাজা মুকুন্দদেবকে আক্রমণ করে। উৎকলবাহিনী প্রাণপণে চেষ্টা করিয়াও সেই আক্রমণে বাধা প্রদান করিতে অশক্ত হইয় বরুণী গড়ে আশ্রয় গ্রহণ করিতে বাধ্য হয়। সেই সময় বৃটিশ সৈনিক কর্তৃক তিন সপ্তাকালব্যাপী