পাতা:ভারতীয় স্মৃতি কথা ও চিত্র - সমরেন্দ্রচন্দ্র দেববর্মণ.pdf/২২১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

*='>3 জতুগ্রহ উক্ত মৃন্ময় স্তুপ-গাত্রে গুহা খনন করিয়া কতিপয় সন্ন্যাসী বাস করিতেছে। . এতদ্ব্যতিরেকে এই স্থানে অন্য কোন লোক কিংবা লোকালয় পরিলক্ষিত হয় না । I বৃষ্টির জলধারায় উল্লিখিত স্তপের মৃত্তিক বিগলিত হইয়া পড়িলে, তন্মধ্য হইতে প্রাচীন কালের প্রচলিত মুদ্রা ও তৈজস পত্রাদি কখনও কখনও প্রাপ্ত হওয়া যায় বলিয়া পল্লীবাসী লোকেরা কহে। প্রত্নতত্ত্ববিৎ পণ্ডিতগণ কর্তৃক অনুমিত হয় যে, বৌদ্ধযুগে এই স্থানে লোক বাস করিত ; ঐ সমস্ত দ্রব্য তৎকালের হওয়াই সম্ভব। অত্রস্থ জনৈক পল্লীনিবাসীর নিকট যে ছুইটী মুদ্র প্রাপ্ত হওয়া গিয়াছে, তাহ পরীক্ষার্থে ভারতীয় কৌতুকসংগ্ৰহালয় (Indian Museum) এর সহকারী তত্ত্বাবধায়ক শ্ৰীযুত বিনোদ বিহারী বিদ্যাবিনোদের সমীপে প্রেরিত হয়। তিনি নিৰ্দ্ধারণ করেন যে, দুইটা যুদ্রার মধ্যে একটা খৃষ্ট পূর্ব ১২৫ হইতে ৮০ বৎসরের ছত্ৰপ উপাধিধারী “হগমাষ” নামক মথুরাধিপতির শাসনকালীয় প্রচলিত মুদ্র, এবং উক্ত কৌতুকসংগ্রহালয়ের অপর কৰ্ম্মচারী শমস্-উলউলাম, হাফেজ নজির আহমদ খা সাহেব কর্তৃক অার একটা মুদ্রা আকৃবর বাদশাহের আগ্রা হইতে রাজ্য শাসন করিবার কালের বলিয়া অবধারিত হয়। পূর্ব বর্ণিত মৃত্তিক স্তৃপ হইতে অন্নদূরে, পল্লীর প্রান্তদেশস্থিত একটা ইষ্টকনিৰ্ম্মিত চতুষ্কোণ বেদীর পৃষ্ঠোপরি নূ্যনাতিরেক দুই হস্ত পরিমাণ উচ্চ একখানি পঞ্চমুখ বিশিষ্ট পাষাণ স্তম্ভ মহাদেবের প্রতিমূৰ্ত্তি স্বরূপ প্রোথিত আছে । জ্ঞাত হওয়া যায় যে, উক্ত স্তম্ভ পল্লীনিবাসিগণ কর্তৃক সৰ্ব্বদা পূজিত হইয় থাকে। পঞ্চমুখ বিশিষ্ট উক্ত পাষাণ-স্তম্ভটা পূর্বে প্রাগুক্ত মৃন্ময় স্তৃপ-মধ্যস্থিত দুর্গের ধ্বংসাবশেষ মধ্যে প্রোথিত ছিল জনৈক গ্রাম-নিবাসী উহ। তথা হইতে আনয়ন পূর্বক বর্তমান বেদী নিৰ্ম্মাণ করতঃ তদুপরি প্রতিষ্ঠিত করিয়াছে বলিয়া স্থানীয় লোকে কহে। কিন্তু বহুদিন অতীত হওয়াতে সেই ব্যক্তির নাম কিংবা সময় কেহই বলিতে সক্ষম হয় না।