পাতা:ভারতীয় স্মৃতি কথা ও চিত্র - সমরেন্দ্রচন্দ্র দেববর্মণ.pdf/২২২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জজুগ্রহ lo s'>e উল্লিখিত বেদীর চতুষ্পার্থে বিকীর্ণ রথোপরি ভাস্কর প্রভৃতি নানাবিধ মূৰ্ত্তি খোদিত কতিপয় প্রস্তর-ফলক দৃষ্টিপথে পতিত হয়। সেই সমুদয়, বেদীতে সমাবেশ পূর্বক প্রাগুক্ত চতুৰ্ম্মর্থবিশিষ্ট শিলা-স্তম্ভ সমেত যে এক আলোক-চিত্র গ্রহণ করা হইয়াছিল, তাহ অন্যান্য চিত্রের সহিত এই পুস্তকে প্রদত্ত হইল। ঐ সমস্ত প্রস্তর-ফলকও পূর্ববর্ণিত বিধ্বস্ত দুর্গের অভ্যন্তর হইতে আনীত বলিয়া স্থানীয় লোকমুখে অবগত হওয়া যায়। চতুর্মুখবিশিষ্ট যে পাষাণ-স্তম্ভের বিষয় বর্ণিত হইয়াছে তাহার বিষয় এবং উক্ত নানাবিধ মূৰ্ত্তিবিশিষ্ট প্রস্তর-ফলক নিচয়ের সম্বন্ধে কোনরূপ তথ্য অবগত হওয়া যায় না। এই বিষয় ঘোর অন্ধকারে সম্পূর্ণরূপ নিহিত হইয়াছে ; এবং কখনও উদঘাটিত হইবে কি না—ইহা বলা দুষ্কর। এতদঞ্চল নিবাসিগণ কর্তৃক কথিত হয় যে, একদা এই স্থান এক বদ্ধিষ্ণু জনপদ ছিল এবং ইহা গঙ্গার তীরদেশে অবস্থিত হেতু এই স্থানে বহুসংখ্যক নাবিকেরা বাস করিত। পূৰ্ব্বে গঙ্গাস্নান উপলক্ষে নানা প্রদেশস্থ লোকসমাগমে এই গ্রামে যে এক মেলা হইত, তাহাতে নানা প্রকারের আমোদ উৎসব ও বহুবিধ দ্রব্য সম্ভার ক্রয় বিক্রয় হইত। এখন আর সেই সমস্ত কিছুই নাই। কালের কুটিল চক্রে সমস্তই অতীত-গর্ভে বিলীন হইয়াছে এবং এক সময়ের এই সমৃদ্ধিশালী পল্লীও ইদানীং শোচনীয় দশায় পরিণত হইয়াছে। সনমাপ্ত