পাতা:ভারতীয় স্মৃতি কথা ও চিত্র - সমরেন্দ্রচন্দ্র দেববর্মণ.pdf/৩৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

श्वब्वब्नेंो فضي يخ হইলে ধবলেশ্বরী মাতা বলিয়৷ ইহার উদ্দেশে শপথ গ্রহণ করে। ঐ হস্তিমূৰ্ত্তির সমীপে শৈলশিখরে অবস্থিত এক সমতল মঞ্চের উদ্ধদেশে এবং শৈলমালার অপরাপর অংশে বহু সংখ্যক ইষ্টক বিকীর্ণ রহিয়াছে। তদ্‌ষ্টে অনুমিত হয় যে কোন এক কালে এই স্থানে ছুইটী বৌদ্ধস্তৃপ প্রতিষ্ঠিত ছিল । উত্তরদিকস্থিত পর্বতমালার পশ্চিমাংশে, সৰ্ব্বশেষ সীমায় বহুসংখ্যক নৈসর্গিক ও কৃত্রিম গুহা লক্ষিত হয় । শৈলমালার পৃষ্ঠদেশের উত্তরাংশে ১৫০ x ১০০ ফিট পরিমিত মঞ্চের উদ্ধভাগে, যে এক প্রস্তর-নিৰ্ম্মিত চতুষ্কোণ শিবমন্দিরের ধ্বংসাবশেষ অবস্থিত, তাহার শিলাখণ্ডনিচয় কোনরূপ যোজক পদার্থের দ্বারা সংযুক্ত নহে, লৌহকীলকের দ্বারা পরস্পর সংলগ্ন । মন্দিরটর সমস্ত উত্তরাংশ ভূমিসাৎ হইয়াছে। অপরাপর অংশ অত্যন্ত জীর্ণ হইলেও এযাবৎ দণ্ডায়মান রহিয়াছে। মন্দিরটা নিতান্ত সাধারণ ধরণের নহে, ইহাতে নিৰ্ম্মাণগত কিঞ্চিৎ বিশেষত্ব লক্ষিত হয়। বর্ণিত মন্দিরের পূর্বদিকে, অল্প নিম্নে যে এক বিশাল গহ্বর দৃষ্ট্রিপথে পতিত হয়, তদভ্যন্তর হইতে “খণ্ডগিরি ও “উদয়গিরি” পৰ্য্যন্ত গমনাগমন করিবার জন্য ভূমিনিম্নগামী এক পথ আছে বলিয়া স্থানীয় লোকের মধ্যে এক প্রবাদ প্রচলিত আছে। শুনা যায় যে উক্ত পথে উদয়গিরি ও খণ্ডগিরিতে গমন করিবার উদ্দেশ্যে জনৈক ব্যক্তি বর্ণিত কন্দরমধ্যে প্রবেশ করিয়াছিল ; কিন্তু প্রত্যাবর্তন করে নাই । উল্লিখিত গহবরের উদ্ধদেশস্থিত একটা গণ্ডশৈল গাত্রে কতকগুলি লিপি ক্ষুদ্র অক্ষরে তিন পংক্তিতে উৎকীর্ণ আছে। ইহার অধস্থলে পৰ্ব্বতের ক্রমনিম্ন দক্ষিণ গাত্রস্থ একটী কৃত্রিম গুহার সমীপে কতকগুলি অৰ্দ্ধখনিত গুহ লক্ষিত হয়। উক্ত গুহানিচয়ের নিম্নদেশে দুইটী পৰ্ব্বত-মধ্যস্থলের পঞ্চিম প্রান্তে একটা প্রস্তর নিৰ্ম্মিত শিবমন্দির অবস্থিত। পল্লীবাসিগণ প্রায়শঃ এই স্থানে আগমন পূর্বক মন্দিরমধ্যে প্রতিষ্ঠিত মূৰ্ত্তির পূজা অৰ্চনা করে, এই জন্য মন্দিরট অদ্যাপি বিনাশকবলে পতিত হয় নাই। এই মন্দিরের সমীপে গণেশ প্রভৃতি বিক্ষিপ্ত কতিপয় ভগ্ন প্রস্তরমূৰ্ত্তি লক্ষিত হয়।