পাতা:ভারতীয় স্মৃতি কথা ও চিত্র - সমরেন্দ্রচন্দ্র দেববর্মণ.pdf/৪৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কাওয়া ডোল স্থ প্রসিদ্ধ গয়া নগরীর উত্তরদিকে তের মাইল দূরে “বেলা” নামে খ্যাত যে এক প্রাচীন গণ্ড গ্রাম আছে, তাহার পূর্ব দিকে দৃষ্টি নিক্ষেপ করিলে কতকগুলি শৈলমাল পরিলক্ষিত হয় । সেই সমুদয় পৰ্ব্বতরাজির মধ্যস্থ ফন্তু নদীর পশ্চিমদিগ বৰ্ত্তী “কাওয়া ডোল” “বরাবর” “নাগার্জন” ও “ধরাওত” গ্রাম মধ্যস্থিত গিরিনিচয়ে প্রাচীন কালের হিন্দু ও বৌদ্ধ যুগের নানাবিধ কাৰ্ত্তি-চিহ্ন বর্তমান রহিয়াছে। গয়া জিলা যেরূপ পুরাকালের কীৰ্ত্তি-মালায় পরিপূর্ণ, বিহার প্রদেশের অন্তর্বত্তী আর কোন জনপদ তদ্রপ নহে। উল্লিখিত বেলা নামক গ্রাম হইতে নৃ্যমাতিয়েক ছয় মাইল দূরবর্তী এক বিস্তীর্ণ প্রান্তর মধ্যে অপরাপর গিরিশ্ৰেণী হইতে সম্পূর্ণরূপ পৃথক ভাবে যে পৰ্ব্ব তট অবস্থিত, তাহা “কাওয়া ডোল" নামে প্রসিদ্ধ ; এবং তাহার প্রান্তদেশস্থিত পল্লীটীও পৰ্ব্বতের নামানুসারে “কাওয়া ডোল গ্রাম” বলিয়া পরিচিত । এই সুবিখ্যাত গিরির উচ্চতা নূ্যনকল্প পাচ শত ফিট হইবে— এইরূপ অবগত হওয়া যায় । উক্ত পৰ্ব্বত “কাওয়া ডোল” নামে অভিহিত হওয়ার সম্বন্ধে এবংবিধ প্রবাদ প্রচলিত আছে যে, ইহার সর্বোচ্চ শিখরে স্ত,প সদৃশ যে এক পাষাণখণ্ড লক্ষিত হয়, পূর্বে তদূৰ্দ্ধদেশে আরও একটা শিলাখণ্ড ঐ ভাবে অবস্থিত ছিল—তদুপরি কাক উপবিষ্ট হইলে শেষোক্ত প্রস্তর স্বতঃই দোলায়মান