পাতা:ভারতীয় স্মৃতি কথা ও চিত্র - সমরেন্দ্রচন্দ্র দেববর্মণ.pdf/৬৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

పి_Ne न्वन्झांन्वन्द्व **ांच्ईड> প্রমাণ স্বরূপ কথিত হয় যে, পুরাণোক্ত দ্বাপর যুগে বাণাস্থর কর্তৃক ইহা পূজিত হইয়াছিল। যাহা হউক উক্ত মহাদেব মূৰ্ত্তি খৃষ্টীয় ষষ্ঠ কিংবা সপ্তম শতাব্দীতে বর্তমান ছিল—ইহা এই স্থানের নিকটবৰ্ত্তী নাগাৰ্জ্জুন পর্বতগুহাস্থ নিদর্শন হইতে জ্ঞাত হওয়া যায়। ইহাতে স্পষ্টই প্রতীয়মান হয় যে, সিদ্ধেশ্বরনাথ নামে খ্যাত বর্ণিত মহাদেবমূৰ্ত্তি বহুকাল অবধি এই স্থানে প্রতিষ্ঠিত আছে। প্রাগুক্ত সিদ্ধেশ্বর চুড়ার সন্নিকটে কতকগুলি বিচিত্র গুহ সহসাই দৃষ্টি আকর্ষণ করে। স্থানীয় লোকে কহে যে, উক্ত গুহা নিচয় প্রায়শঃ দূরাগত সন্ন্যাসিগণ কর্তৃক অধিকৃত হইয়া থাকে। একদা বুদ্ধদেব যে এক পৰ্ব্বত শিখরে অবস্থান পুৰ্ব্বক মগধ রাজ্যের বিষয়ে চিন্তারত হইয়াছিলেন—এইরূপ কথিত আছে ; ইহাই যে সেই স্থান তাহ প্রত্নতত্ত্ববিৎ পণ্ডিতগণ কর্তৃক অবধারিত হইয়াছে । এই স্থানে সময়ে সময়ে বহু তীর্থযাত্রীর সমাগম হয় বলিয়া জ্ঞাত হওয়া যায় । সিদ্ধেশ্বর চুড়ার দক্ষিণাংশের নিম্নদেশে শৈলমালা বেষ্টিত একটা মনোজ্ঞ বৃহৎ সরোবর অাছে। এতদঞ্চলস্থ লোকে ইহাকে কিস্তী নামে অভিহিত করে। এই নির্জন পৰ্ব্বতোপরি শৈলশৃঙ্গমালা ও বিকশিত কুমুদিনী-পরিশোভিত স্ফটিক তুল্য স্বচ্ছ সলিল-পূর্ণ জলাশয়—এই সমুদয়ের একত্র সমাবেশের দৃশ্য এরূপ মনোহর যে তাহ অবলোকন করিলে দশকের হৃদয় স্বতঃই বিমুগ্ধ হইয়া যায় । কিন্তু এবংবিধ শান্তিময় সুরম্য স্থান ব্যাঘ্ৰাদির উৎপাতের রঙ্গভূমিতে পরিণত। ঐ সমস্ত হিংস্র জন্তুর নিষ্ঠুর লীলার নিদর্শন প্রায়শঃই যে তথায় দৃষ্টিপথে পতিত না হয় এরূপ নহে। এই জন্য সাধারণতঃ লোকে সূর্যাস্তের পর ঐ স্থানে গমন করিতে সাহসী হয় না । || উল্লিখিত কিস্তী সরোবরের জল ভূমি ভেদকরিয়া পৰ্ব্বতের নিম্নদেশ হইতে একটী বারিধারা রূপে নিৰ্গত হইয়াছে । এই ক্ষীণকায়া নাতিগভীর স্রোতস্বতী সৰ্ব্বজন সমীপে পুণ্যতোয় পাতালগঙ্গা নামে খ্যাত। ইহার