পাতা:ভারতীয় স্মৃতি কথা ও চিত্র - সমরেন্দ্রচন্দ্র দেববর্মণ.pdf/৭৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ఆలిషి লাগীৰ্জ ভন পৰ্ব্বভ কতকগুলি লিপি হইতে জ্ঞাত হওয়া যায় যে, অনন্তবৰ্ম্ম নামক মধ্যদেশের (যুক্ত প্রদেশ ) হিন্দু ধৰ্ম্মাবলম্বী কোন নৃপতি এই গুহামধ্যে কাত্যায়নী মূৰ্ত্তি প্রতিষ্ঠিত করিয়া ইহার সেবা-পূজার ব্যয় নির্বাহের জন্য দেবোত্তর স্বরূপ এক গ্রাম দান করিয়াছিলেন । বৌদ্ধধৰ্ম্মের পতনকালে এই স্থান যে হিন্দুগণের করায়ত্ত হইয়াছিল এই বিষয় শেষোক্ত লিপি হইতে স্পষ্টরূপে প্রতীয়মান হয়। উল্লিখিত পৰ্ব্বতের উত্তরদিকে একটা অনতি-উচ্চ শৈলমালার পৃষ্ঠদেশে যে দুইটা গুহ অবস্থিত, তাহার দক্ষিণ দিকে ছুইটী উন্নত মঞ্চ আছে। জেনারল কনিংহাম অনুমান করেন যে, পূৰ্ব্বে তদুপরি এক বৌদ্ধ বিহার ছিল। উক্ত মঞ্চদ্বয়ের উদ্ধ দেশস্থ ভগ্ন প্রস্তর স্তম্ভ সমূহ ও বিকীর্ণ চতুষ্কোণ প্রস্তরখণ্ড এবং এই স্থানের বর্তমান অধিকারী মুসলমানগণের উক্তিও জেনারল, কানিংহামের অনুমান সমর্থন করে । এই স্থানে ইতস্ততঃ বিকীর্ণ বহুসংখ্যক ইষ্টকরাশি ও কারুকার্য্য বিশিষ্ট ভগ্ন প্রস্তরখণ্ড দৃষ্টিপথে পতিত হয়। তৎসমুদয় পর্যবেক্ষণ করিয়া অনেকে অনুমান করেন যে, কোন এক সময়ে এই স্থান সৌধমালায় পরিপূর্ণ ছিল। পশ্চিম দিকের এক শিলাবিদার মধ্যে একটা অতি ক্ষুদ্র-দ্বার-বিশিষ্ট গুহ আছে ; ঐ দ্বারের পরিসর ২ বা ২২ ফিটের অধিক হইবে না । উক্ত গুহা অপরাপর গুহা নিচয় হইতে দূরে ও পৃথকভাবে অবস্থিত, এবং প্রস্তররাশিতে এরূপ প্রচ্ছাদিত যে, সহজে তাহ লক্ষিত হয় না। বর্ণিত পৰ্ব্বতের পৃষ্ঠদেশে অবস্থিত সর্বশেষ গুহাটার অভ্যন্তরভাগ অতীব মন্থণ ও স্থচিকণ । ইহার সম্মুখে খিলান করা ছাদ বিশিষ্ট এক দ্বারমণ্ডপ ও তৎপূর্বভাগে এক কূপ আছে। উক্ত দ্বারমণ্ডপের গাত্রস্থ শিলালিপি হইতে অবগত হওয়া যায় যে, ঐ গুহা ‘বাপিকা” নামে খ্যাত । গুহাবাসিগণের জলাভাব নিবারণ করিবার উদ্দেশ্বে কুপসমন্বিত গুহাটা নিৰ্ম্মিত করিয়া সম্ভবতঃ ইহার উল্লিখিত নাম প্রদত্ত হইয়া থাকিবে ।