পাতা:ভারতী কার্তিক-চৈত্র ১৩২০.djvu/১০৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ከሦ98 মাভ আলোকে কিরূপ পারিবারিক সম্প্রীতির ভাবে হর্ষ্যেৎফুল্লনয়নে সম্মিলিত হয়।” উত্তর কুরুর আর্য্যগণও এই প্রকারে গৃহাগ্নির মুখোষ্ণ উত্তাপ উপভোগ করিয়া আনন্দলাভ করিতেন, বেদের উদ্ধত বর্ণনা হইতে এইরূপ বোধ হয়। শীত প্রধান দেশাধিবাসীদিগের পক্ষে অগ্নির প্রয়োজনীয়তা ও উপকারিতা যত অধিক তত অধিক অণুর কাহারও পক্ষে হইতে পারে না । আর্য্যগণ শীতপ্রধান উত্তরকুরুবাসী ছিলেন বলিয়াই তাহারা অগ্নির প্রয়োজনীয়তা এরূপ হৃদয়ঙ্গম করিতে পারিয়াছিলেন যে ইহাতে দেবত্ব আরোপ করিতেও তাহাবা কুষ্ঠিত হন নাই । ইছা হইতেই অগ্নিপূজার উৎপত্তি হইয়াছে, এবং শীতের প্রকোপনিবারণার্থ গৃহে সৰ্ব্বদা অগ্নি সঞ্চয়ের আবশ্বকত হইতেই গৃহে নিত্য যজ্ঞাগ্নি সংরক্ষণের রীতি প্রচলিত হইয়াছে। “অগ্নিহোত্ৰী” ও “সাগ্নিক” ব্রাহ্মণ প্রভৃতির মূলে এই ঐতিহাসিক সত্যই বর্তমান। বৎসরের যে ‘হিম’ নাম আমরা বেদে পাইয়াছি তাহার অর্থ পর্য্যালোচনা করিলে আমরা দেখিতে পাই যে, ‘হিম’ তুষার (বরফ) অর্থেও ব্যবহৃত হয় । সুতরাং ইহা হইতে আমরা বুঝিতে পারিতেছি যে, যেখানে শীতে জল জমিয়া বরফ হইয়! যাইত সেইখনেই শীতকাল অর্থে ‘হিম’ শব্দের প্রথম প্রয়োগ হওয় সম্ভলপর ছিল। হিম ঋতু অর্থে বেদের এই হিমশব্দের প্রয়োগ পরবর্তী সংস্কৃত সাহিত্যে অতীব বিরল। তৎপরিবর্তে শীত শব্দেরই প্রয়োগ দেখা যায়। ইহা হইতে প্রমাণিত হয় যে যখন আর্যগণ শীত ঋতু বলিয়৷ শীতকালকে নির্দেশ করিতে আরম্ভ ভারতী কাৰ্ত্তিক, ১৩২০ করিয়াছিলেন তখন র্তাহারা তীব্র শীতের দেশ হইতে অপেক্ষাকৃত মৃন্থ শীতের দেশে আসিয়া উপস্থিত হইয়াছিলেন। বৈদিক ঋষিদিগের "হিম’ শব্দ নির্দেশু। বৎসর কোন সময়ে আরম্ভ হইত তাহার আভাস আমরা বেদেই পাইতে পারি। বেদে অমর। যেমন "হিম” শব্দ বৎসর অর্থে ব্যবহৃত দেখিতে পাই তেমনই “হেমন্ত” শব্দও বৎসর অর্থে ব্যবহৃত দেখিতে পাই যথা— জীব শাদো বৰ্দ্ধমানঃ হেমন্তাঞ্ছতমু বসন্তান ॥" ৪ ( ঋগ্বেদ ১০ মণ্ডল ১৬১ স্বত্ত । ) “হে রোগী ! একশত শরৎকাল জীবিত থাক ; সুখে স্বচ্ছন্দে একশত হেমন্ত, একশত বসন্ত জীবিত থাক ।” অভিধানেও 'হেমন্ত’ ও "হিম” একই ঋতু বলিয়া ব্যাখ্যাত হইয়াছে। ইহাতে হেমন্ত হইতেই হিম ঋতুর আরম্ভ হইত এইরূপই অনুমান হয়। শব্দকল্পদ্রুমে হেমন্তের যেরূপ ব্যাখ্যা প্রদত্ত হইয়াছে তাহাতে তামাদের কথারই সম্পূর্ণ সমর্থন পাওয়া যায়। সেই ব্যুৎপত্তি এই,—হিমোহতেহস্তেতি বা মনীষাদিত্বাৎ হেমন্তঃ । “যাহার শেষে হিম আসে তাহাই হেমন্ত।” উভয় ঋতুরই ব্যাপ্তিকাল অগ্রহণয়ণ ও পৌষমাস বলিয়া শব্দকল্পদ্রুমে উল্লিখিত হইয়াছে। হেমন্ত ঋতু হিম বা বৎসরের আদি বলিয়াই যে ইহার প্রথম মাস অগ্রহায়ণ ( অর্থাৎ বৎসরের প্রথম ) বলিয়া অভিহিত হইবে তাহা পরিষ্কার বুঝিতে পারা যায়। এবং কিজষ্ঠ পৌষ মাসে বৎসরের ফলাফল স্কুচিত হয় বলিয়া সংস্কার প্রচলিত হইয়াছে তাছাও পরিষ্কার বুঝিতে পারা যায়। উপরে জামরা বেদে শরৎ, হেমন্ত, বসন্ত শতং “শতং