পাতা:ভারতী কার্তিক-চৈত্র ১৩২০.djvu/১১৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩৭শ বর্ষ, অষ্টম সংখ্যা “অঁ্য চাব চারটে আমাদেব কম্লীব তপস্ত ভাল ছিল।” শচীকান্তের নিশ্চল হৃদপিণ্ড প্রতিঘাতে স্পদিত হইয়া উঠিলু চোখ মুগ লাল করিয়া একটা রক্তের উচ্ছাস মাথার মধ্যে ছুটিয়া গেল “সেকি ; সেকি ।” ধূৰ্ত্ত করালী শাস্তভাবে ধুম ছাড়িতে ছাড়িতে বলিল “এই একটা কথাব কথা বলছিলাম, বিবাহ হয়েছে?” “না” বলিয়া ডিবাট নামাষ্টয়া রাখিয়া সে উঠিতে চেষ্টা করিল, যেন এপান হইতে ছুটিয়া পলাইয়া সে এই মায়াবীব হস্ত হইতে আত্মবক্ষা কবিবে। কিন্তু সম্মুখে দৃষ্টি পড়িতেই আবাব ও কি দৃশ্ব ! সজল চরণচিহ্নগুলি ধূলায় অঙ্কিত করিয়া আৰ্দবসনে ভারাবনত দেহে কে ঐ ঘাটেব পথ হইতে ফিবিতেছে । সে প্রভান্তেব হাস্তমী মানসপ্রতিমা নহে, সংসাবেব কঠোব নিষ্পেষণে নিষ্পেষিত স্ন করুণমূৰ্ত্তি সে। শচীকান্ত তাহাব দৃষ্টি বাচাইবাব চেষ্টায় একটু সবিয়া বসিল, নিজেকে স্থিৰ করিয়া লইবাব জন্ত একটু চুপ কবিয়া রহিল। তারপর ললাটেব স্বেদজড়িত কেশগুচ্ছ ধীবে যথাস্থানে সন্নিবেশিত করিয়া রুদ্ধকণ্ঠ পবিস্কার কবিয়া আবাব সেই দিকে চাহিল। অতি নিকট দিয়া কমলা কোনদিকে ন চাহিয়া ধীর পদে পিরকির দিকে চলিয়া গেল। তাহার বিষঃ নত নেত্ৰেব আভাষ দ্রষ্টার সব দ্বিধা ঘুচাইয়া দিয়া গেল, সে অভিভাবকের দিকে অসঙ্কোচে চাহিয়া কহিল “ওখানের সঙ্গে তাহলে মেটাতে চান না ?” “ন!” । “তাহলে যদি আর কেউ কমলার কর প্রার্থনা করে তো—” পাশ ! বাগদত্ত{ br82 “যদি তিনহাজাব টাকা দেয়, তাহলে তfবই সঙ্গে বিয়ে দেবে,—” একটা ঘূণাপূর্ণ ক্রোধ কটাক্ষ কবিয়া সে কহিল “হা, হ্যা ত! আমি জানি । টাকা দিলেই—আপত্তি নাই কিছু ?”

  • কিছু না । তবে টাকাটা আগাম চাই বুঝলেন ?”

“আচ্ছা তাই হবে ।” বক্তার মন বুঝিয়। আপার করালীচব, মনের মধ্যে হাসিল । টকা খসাতে হলেষ্ট বাবুরা বড় চটেন। প্রকাশ্যে সে কিছু না বলিয়া সজোবে হুকার নলে টান দিতে লাগিল । কিছুক্ষণ পবে অতিথিব পানে ফিবিয়া না বুঝিবাব ভানে বলিল "বব কে ?” লোকটার অল্পবুদ্ধির প্রতি অসঙ্গীয় ভাবে চটিয়া শচীকান্ত নীবলে অধর দংশন কবিল, তাহার মনের মধ্যে আবার দেবামুবের যুদ্ধ আবিস্ত হইয়াছিল। 8 ર “বলি আজ যে বড় খুলী খুলী? বেলাতে আর বেথে এসোনি যে দুটো কথা বাৰ্ত্ত কষ্টব, সত্যি কমল তোকে শুধু ঐ হাসিটুকুতেই আজ এত সুন্দব দেখিয়েছে আমারই মনে হচ্চে নিজেকে বিকিয়ে দিই।” কমলার নুশুন বন্ধু সরোজিনী প্রীতিপূর্ণ নেত্রে তাহার সরমরঞ্জিত মুখে দৃষ্টি রাখিয়া এই কথা বলিল । অপরাহ্লে তখন সায়াহ্লের ছায়াপাত হইয়াছিল । মান আলোকে সলিলমধ্যবর্কিনী কমলাকে জলদেবীর মতই অপূৰ্ব্ব দেখাইতেছিল, তাহার স্থিরদৃষ্টি আজ ক্ষণচঞ্চল, একটা সলজ্জ রাঙ্গ আভা তড়িৎবেগে