ᎿᏉᏋbr স্বস্নিগ্ধ কালে চোখ দুইটি একবার পূর্ণ প্রতি ভবে সখী ব মুখে স্থাপন করিয়া সে নিজের মুখপান তাহার হস্তম্য হইতে ছাড়াইয়া লইয়া সবেগে কহিল “যা ও !” কিন্তু স্তুতির বাণী কয়ট বোধ হয় বড়ই মনের মত হইয়াছিল। কস্তু ধী মৃগ যেমন নিজের গন্ধে নিজে মোহিত হয় আজ তাহার মনটাও তেমনি এ খবর টুকুতে মাতিয়া উঠিল। লগ্নমাথায় কবিয়া বর আসিল । বরযাত্রী জনকয়েক মাত্র। বব কৰ্ত্ত লম্বোদৰ তুল্য দেড় গবদ উত্তবীয়ে আচ্ছাদন কবিয়া অপ্রসন্ন দৃষ্টি চতুৰ্দ্দিকে নিক্ষেপ কবিতেছিলেন। ববের পাশ্বে মোট চেনপর মিতবর মৃদুস্বরে রহস্ত বাণী বর্ষণ কবিতেছেন। কিন্তু এ কি বর ! নেপথ্যস্থিত সরোজিনী নিম্পন্দনেত্রে বরের দিকে চাহিয়া রহিল। প্রাণদণ্ডে দণ্ডিত আসামীর পরিকল্পনা লইয়া শিক্ষিত নট যেন রঙ্গভূমে প্রবেশ করিতেছে! এই কমলাব বর! অতি সুন্দর তরুণ মূৰ্ত্তি, কিন্তু ভষ্মের স্তায় বিবর্ণ, প্রাণ-হীনের মতই নিম্পন্দ! কে যেন শ্মশান যাত্রার পরিবর্তে তাহাকে বিবাহবেশে সাজাইয়া আনিয়াছে ! (88) . গিরিজাসুন্দরী অবাক হইয়াছেন । কালধৰ্ম্মের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ টেকেন ; একথা ভাবিয়া তিনি এখনকার কালের ছেলেমেয়েদেব সম্বন্ধে অনেকখানি উদার নীতি অবলম্বন করিয়া চলেন, শচীকান্তের অনেক অসঙ্গত চালচলন যাহা তাহার পিতৃগৃহেও অনেকে সমালোচনার চক্ষে দেখিত তিনি সে সকল তাচ্ছিল্য করিয়া উড়াইয়া দিয়াছেন, অপর কেহ কিছু বলিলে ভাবতী অগ্রহায়ণ, ১৩২০ বরং সেটা চাপ দিবার ইচ্ছায় হাসিয়া কহিতেন “চিরকাল কি সমান যায়রে বাপু, যুগধৰ্ম্ম একটা নেই ?” কিন্তু সেই স্নেহময়ী মাসিমাও এবার র্তাহার উদার নীতিকে তেমন করিয়া যেন প্রশ্রয় দিতে পারিতেছিলেন না । তাঙ্গার জন্মেব সাধে ছাই ঢালিয়া বাসস্তীকে সে তো প্রত্যাখ্যান করিলই—করুক ইহার সঙ্গত কাবণও প্রথমটা দে গাইয়াছিল ; কিন্তু মাঝখানে শোনা গেল সে মেয়েব অ{জ তিন চাব বছর ধরিয়া কোন খোজখবর নাই । তারপর সে যখন আসিয়া সেই নিরদিষ্ট কম্ভার পুনঃপ্রাপ্তি সংবাদ জানাইয়া বলিল, আগত পরশ্ব বিবাহের দিন আছে সেই শুভলগ্নেই সে বিবাহ করিতে চাছে, তখন সত্যই তাহাকে সে বিস্মিত করিল, আহতও করিল। হউক কলিকাল তা বলিয়া এতখানি স্বাধীনভাব শোভা পায় না ! গিরিজা বিরক্ত হইয়া কহিলেন “পরশু কেমন কবে হবে ? তোমার বাপভাইকেও কি জানতে হবে না ?” বিয়েপাগল ছেলের আপদি মস্তক যেন কম্পিত হইল, মুখ এতটুকু করিয়া সে কহিল “র্তার পূর্বেই জানতেন, এখনই না-ই বললে বিয়েব পর একবাবে লিথ । এদিনটা ছাড়া হতেই পারে না ; মাসিমা ওর! ফাল্গুন মাসে রাজী নয়।” “ন হয় বৈশাখ মাসেই হবে, এত শীঘ্র কখনও বিয়ে হয় রে বাপু ! খেলাঘরের বিয়ে নাকি ? পত্র আছে, গায় হলুদ আছে, সামাজিক করতে হবে, নেমন্তর, কুটুম সজ্জন আনা—বলিস্ কি ! একি হাড়িডোমের ঘর ” শচীকাস্তের মুখখান একেবারে কালি