পাতা:ভারতী কার্তিক-চৈত্র ১৩২০.djvu/১২০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩৭শ বর্ষ, অষ্টম সংখ্যা হইয় গেল “পায়ে পড়ি মাসিম, কিছু কবে না কাউকে খবব দিওন —শুধু ”— ঢেব ঢের বেহায়া ছেলেপিলে দেখা যায় এতবড় নিল্লার্জ কেহ কথনও দেখে নাই ! মনেব ক্ষোভ বিরক্তি ক্রোধ এক সঙ্গে উথলিয়া উঠিল, মুখ রাঙ্গা কবিয়া কম্পি ত স্ববে কছিলেন “লেশ বাছা যা বোঝ কবে। আমবা বুড়ো গুড়ো হয়েছি বুদ্ধিগুদ্ধি লেপি পেয়েছে ভালমন্দ চিনে উঠতে পাবিনে ৷” নিগূঢ় অভিমানে স্তব্ধ থাকিয় যথাসম্ভব আয়োজনে মন দিলেন, কাশীতে এবং ভক্তিনাথকে সংবাদ পাঠাইতে বাবণ কবিয়াছে, কণগ কবিয়া একটা খবব ও দিলেন না, বচিবের লেীকেব কাছে মান হাব ইবাব ভয়ে হুবচন্দ্রকে ডাকিয়া হুকুম দিলেন, “পবশুর মধ্যে যাতে সামাজিক বিলি হয় তাব বন্দোবস্ত কব।” বাজনার ফবমাস নিমন্ত্রণেব ফর্দ ও এই সঙ্গে তৈয়াবিব আদেশ হইয়া গেল । নাযেব কহিল “যে অজ্ঞে সব হয়ে যাবে, কিন্তু এত শীঘ্ৰ কেন ? অাগে কনে দেখাই তোক তারপব পত্র – ক্ষোভেব সহিত হাসিয়া গৃহিণী কহিলেন “ওগো না না, সে সব ভাবনায় তোমাব কাজ নেষ্ট, সে যে ভালবার সে ই ভাপচে । পবশু লে’ব আগে এগুলো হওয়া চাই নৈলে লোকে বলবে কি ?” অ্যা পরশু বে। দাদাবাবুব বে:পরশু ! পত্র টক্র হলোনা ?” “সে সব হয়ে গ্যাছে বল্লাম যে, এখন যা ও যা বল্লাম কর, হরিপে দাবকে এক বাব ডেকে পাঠী ও দেখি, যদি বৌভাত নাগাদ ছ এক থান৷ কিছু গড়ে দিতে পারে।” R বাগদত্ত। br8:ର কল্যাণী মায়েব গম্ভীব মুখে তাহার বিবক্তিব লেখা পাঠ করিলেও এ সম্বন্ধে কোন কথাই তুলিল না, তাহার ভালবাসভেরা প্রাণটি দাদাব সুখের অংশ ভাগ করিয়া লইয়া বিভোর হইয়াছিল। পবশ্ব তারিখটা যদি নেত্রপল্লবকম্পনে অতীত হইয়া যায় তাহীতেও তাহার আপত্তি নাই, কমলাকে কতক্ষণে সে দেখিবে সেই উংস্থক্য লইয়াই মনে মনে ছট ফট কবিতেছিল । বিবাহে ব বেশ পবিয়া বব কনক{ঞ্জলি গ্রহণ কবিল, বাহিবে হুবচন্দ্র সময়ের অল্পতীয় উদ্বিগ্ন হইয়া উঠিতেছিলেন, গ্রামেব প্রস্ত অবধি বাজনাব দল ; দেশেব বালকগণ ববামুগমন কবিলে বলিয়া ভিড় কবিতেছিল, সিম্পান, পন্ধি, সালুমোড়া চতুৰ্দ্দোল কাতার দিয়া দাড়াইয়াছে, অভিমান ভুলিয়া গিবিজসুন্দরী পুত্রেব চন্দনচর্চিত ললাটে চুম্বন কবিয়া ছলছল নেত্ৰে মুখ দিবtষ্টয়া বঙ্গিলেন, দিদি আiজ কোথায়, এমন সময় সে যদি থাকত ! সহস বব স্থালি তকণ্ঠে ডাকিল “মসিম৷ ” “বালা ?” “ আমি বিঘে কববনা ওদের সব সবে যেতে বল ।” “কি বলিদ ।” “সত্যি বলচি আমি যালোনা, না মাসিম এপন সব বলতে পাবল ন পবে বললে,— আমি বিয়ে কবলো না --” সে কলাতল হইতে নিৰ্ম্মণ স্তু হইয়া উপব সিড়ির দিকে ফিরিল। কি যেন একটা ঘোর সংশয়ে তাহাব কণ্ঠ কাপিয়া উঠিতেছিল, বেশ বুঝ যাইতেছে চিত্ত মুখলেশহীন । গিবিজ অন্ত তপ্ত হইয়া ভাবিলেন তিনি রাগ করিয়া আছেন বুঝি সে অভিমান করিতেছে ।