পাতা:ভারতী কার্তিক-চৈত্র ১৩২০.djvu/১২১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

o a o মুহূৰ্ত্তে সব ভুলিয় তাহার হাত ধবিলেন "পাগল-ছেলে ! করিস কি ?” “না মাসিমা থাক আমি যাবোন” “তুই সময়ে না পৌছুলে সেখানে কি কাণ্ডট হবে তা ভাবচিস্ ? রাত্রের মধ্যে যাকে পাবে তাকে ধবে কন্ত। সম্প্রদান করতে হবে, হয়ত কোন খুড়গুড়ে বুড়োর হাতে মেয়েটি পড়ে আজন্ম জলে খুন হলে, বাপরে । এমন শত্রুও হ’তে আছে ।” বর মুহূৰ্ত্তে সচেতন হইয়া উঠিয়া বাহিবের দিকে ফিরিল । জমীদার বাড়ীব বিবাহ, তাহাতে গিবিজ|সুন্দরীর ঘবে কথনও বধূগমন ঘটে নাই, পল্লীগ্রামে উৎসবের গন্ধে একেই ফুলবনে মধুমক্ষিকাবৎ পাড়া মাতিয়া উঠে তাহাব উপব এমন একটা সুযোগ। বড় বড় চুল বানাইয় অন্নসত্র খুলা হইয়াছে, সকলের জন্তই এ গুহেব দ্বাব অবাবিত, গরীব, গৃহস্থ, যে আদিতেছে গিরিজার নিয়োজিত লোকের পাত পাতিয়া পরিতোষ ভোজন ক বাইতেছে । পরিবেশনের যাতায়াতে উঠান কদমে দধিতে পিছল হইয়া উঠিয়াছিল। দেবে, আয়ার শব্দের সঙ্গে জয়জয়কব মিশিয়া সৰ্ব্বক্ষণই একটা কোলাহল জমাইয় রথি:ছিল। দাসী চাকর, প্রজ, পড়সী রঙ্গিন কাপড়ে সাজিয়া কর্তৃত্ব করিতে ক্রটি করিতেছিল না। গিরিজার গৃহ অন্নদাব যজ্ঞশালা হইয়া উঠিয়াছে। তিনি শারীরিক মানসিক সকল চিন্ত ভুলিয়া বর-বধূব কল্যাণার্থ অকাতবে সকলকে খাওয়াইয়া, পরাইয়া, বধিয়া দিয়া, যে যtহাতে সুখী তাঁহাই সম্পন্ন করিতে নিযুক্ত ছিলেন। ভারতী অগ্রহায়ণ, ১৩২০ র!ল্লীবাড়ীর একদিকে যশোহর হইতে ভিয়ানকর আসিয়া রাশি রাশি মিঠাই মুড়কি ফেনি বাতাস প্রস্তুত করিতেছে, পাচ সাতজনে তাহা ভাণ্ডারে লইয়া গিয়া পিতলের ছঁাড়ি ভরিয়া সাজাইয়। রাখিতেছে ; পল্লীগ্রামের প্রথা মত বধূব মুখ দেখিয়া মিষ্টমুখ করিতে প্রতিজনে একটি করিয়া সমিষ্টান্ন হাড়ি ঘরে লইয়। যাইবেন। এই দিকেই পাড়ার ছেলেগুলা ও রাজ্যের মাছি ঝাক বধিয়াছে। গৃহিণী কৰ্ম্মব্যস্তভাবে এদিক ওদিক করিতে করিতে মধ্যে মধ্যে আদেশ করিতেছিলেন “ওরে ছেলেদের হাতে দুটো দুটো মিষ্টি দিস, ভিয়েন বন্ধ রেখে ঠাকুরদের একটু জল খেতে দাও, মতে মাছ এনেছে, ওকে এক সর মুড়কির ওপোর গণ্ডাছই মেঠাই দিয়ে বিদেয় কবে । গ্রামেব শেষে বাজনৃদবগণ ষ্টেশনের নিকট অপেক্ষা করিতেছে। চতুৰ্দ্দেলি, মহাপায় পান্ধি লোক লস্কব সবই সেখানে, সন্ধ্যার পূৰ্ব্বে হঠাৎ বাজনা বাজিয়া উঠিল, উৎকর্ণ পূববাসী মহাবোলে চীৎকণব করিয়া উঠিল “ ঐ বর ঐ বব আসচে ” চাবিদিকে একটা হৈ চৈ সোবগোল পড়িয়া গেল, মলের ঝম্‌ ঝম্‌, বাজুব ও খোপার গুজিকাঠির ঘুঙ্গুরের ঝিন্‌ঝিনানি তাহার মধ্যে আশ্রয় লইল। শশব্যস্ত বাটির গৃহিণী হাকিলেন “পূর্ণকুম্ভ ঠিক আছে তো ? দুধের কড়ায় ভাল করে জাল দিতে থাক, ওরে ও কল্যাণী ধানের কাঠাটা ! ধানের কাঠা বরণ পিড়ির কাছে দেখচিনে কেন ? নিয়ে আয় নিয়ে, আয়। ন্যাঠা মাছটা কোথায় রেখেছিস্ ?” মহাশব্দে যুগল শঙ্খ দেবদত্ত