পাতা:ভারতী কার্তিক-চৈত্র ১৩২০.djvu/১২৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

bgミ সংগ্ৰচ করিতে পারিল না তখন সকলেই বিরক্ত, ক্ষুব্ধ কেহ কেহ ক্রুদ্ধ হইয়। সেখান হইতে চলিয়া গেল ! দেখিতে দেখিতে বাড়াময়, পাড়াময়, দেশময় বাষ্ট্র হইয়া গেল জমাদার গৃহিণীর বোনপো রূপসী দেখিয়া একটা বিংশ বর্ষীয়া মুকু উন্মাদকে বিবাহ কবিয়া আনিয়াছে। একালেব ছেলেদের রূপতৃষ্ণব বৈজ্ঞানিক পূৰ্ব্বকালে পরমাণু বস্তুর স্বক্ষতির অংশ বলিয়া গণ্য হইত, কিন্তু ইদানীং ইহাদের মধ্যেও শত শত সুহ্মাতিস্থঙ্গা অণু (কপাসকল Corpuscle) বিদ্যুৎবেগে ঘূর্ণায়মান হইতেছে বলিয়া স্থিরীকৃত হইয়াছে। এ অবস্থায় দুইটি হাইড্রোজেনের (Hydrogen) পরমাণু ও একটি অকৃসিজেনেব (Oxigen) পরমাণু একত্রিত হইয়া যখন একঅণু জলকণিকা প্রস্তুত হয়, তখন এই সকল কপাসকোলের কি একটা ভয়ঙ্কব সংঘর্ষণ উপস্থিত হয় তাঙ্গ বর্ণনাতীত। কেবল জলাধু নহে, এইরূপে অষ্টান্ত নানা জাতীয় পরমাণুর সংমিশ্রণে যখন বিভিন্ন পদার্থ উৎপন্ন হয় তখন কুtহাব মধ্যে যে ংঘর্ষণ ক্রিয় চলে, তাহ চিন্তা দ্বাবাই মাত্র কথঞ্চিৎ অনুমান করা যাইতে পাবে, তাহার এককোটি ভাগের একভাগ ও প্রত্যক্ষ ভাবে আমাদের অনুভূত হয় না। যথা চূণ এবং হরিদ্র মিলিত হইলে সামান্ত রকম উত্তপ্ত হইয়া বর্ণ পরিবর্তিত করে,— আমরা কেবলমাত্র সেইটুক উপলব্ধি করি । কিন্তু বাস্তবিক পক্ষে চিন্তা করিয়া দেখিলে উহ! একটি ভয়ঙ্কর কাও বলিয়া অনুমিত হইবে । ভারতী অগ্রহtয়ণ, ১৩২০ শত ধিক্ দিয়া দেশ জুড়িয়া একটা তীব্র সমালোচনা চলিতে লাগিল । শিশির জিজ্ঞাসা করিল “সত্যি কল্যাণি ?” বিবর্ণমুখে কল্যাণী কহিল “হতে ও পাবে ।” “তোমার দাদাও এবার বুঝেছেন, তিনিও তো এদিকে শয্যাগত”। “কে জানে, এ আবার কি হলো !” অদ্বৈতবাদ একখন চলন্ত জাহাজ জলনিমগ্ন শৈলে লাগিয়া নিমেষ মধ্যে চূর্ণীকৃত হইলে যে বিস্ময়জনক কাণ্ড ঘটে, পূর্ববর্ণিত হরিদ্র ও চুণের রাসায়নিক পরিবর্তনও প্রায় সেইরূপ । কিন্তু সাধাবণ চক্ষে এ সকল কাণ্ড আমধ। কিছুই দেখিতে পাই না এইজন্তই চতুৰ্দ্দিকের পদার্থ দিগকে আমব নির্জীব নিশ্চেষ্ট মনে করি । কিন্তু দিব্য চক্ষে দেপিতে গেলে সৰ্ব্বদাই আমাদেব চতুঃপার্শ্বস্থ বস্তুসমূহে এইরূপ ভয়ঙ্কর ঘটনা প্রতিমুহূৰ্ত্তে ঘটিতেছে বলিয়া পরিলক্ষিত হইবে। যখন আমরা সূর্য্যের দিকে করি, তখন উহাকে একটা ভয়ানক শক্তিমান পদার্থ বলিয়া মনে হয়। সেইরূপ প্রবল ঝড়বৃষ্টিতে, ভীষণ অগ্নিকাণ্ডে, এবং সমুদ্র তরঙ্গ প্রভৃতিতেও আমরা ঈশ্বরিক শক্তি উপলব্ধি করিয়া থাকি। সেইজন্তই হিন্দুরা স্বৰ্য্য, চন্দ্র, বায়ু, বরুণ ও অগ্নিদেবতার পূজা করিয়া থাকেন। কিন্তু থালা, ঘটী, বাট প্রভৃতির কেহ পুজা কবেন না। তাহার কারণ সাধারণ দৃষ্টিতে তাহার মধ্যে কোন ঐশ্বরিক শক্তি উপলব্ধ হয় না। অথচ দৃষ্টিপাত