পাতা:ভারতী কার্তিক-চৈত্র ১৩২০.djvu/১৩১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ما را بر বিপদ নিকটবৰ্ত্তী শুনিলেই তিনি খুলী হইতেন । “আমি জানি, —আমাকে মারাও যত কঠিন ভবঘুরে নাগ ফকির গুলোকে ম(বাও ঠিকৃ তাই । সাফ হয়ে গেছে, -আমাকে ডাক্তাধেব কাছে কিছুক্ষণের জন্তে রেখে তুমি বাইরে যাও।” মিসেস হিথরষ্টন্‌ স্বামীৰ বাক্যে যেন অত্যন্ত অনিচ্ছাব সহিতই মৃঢ় পদসঞ্চারে সে কক্ষ ত্যাগ করিয়া গেলেন। আমিও বোগীর বক্তব্য শ্রবণ করিবার জষ্ঠ তাঙ্গর বিছানাব গব একটু নিকটে চেয়ার টানিয়া লইলাম । জেনাবল কহিলেন “ডাক্তার, আমি আগে একবার লিবারটা পৰীক্ষা করতে অনুবোধ কচ্চি। পূর্বে এই জায়গাটায় ফোড়া হেত। ব্রোডি,--আমাদের পরিবারিক ডাক্তার বলেছিলেন যে, এ জায়গায় ফোড় হলে শতকরা পাঁচটা বোগীও বচে কি না সন্দেহ ? যে পর্য্যস্ত ভারতবর্ষ ছেড়ে এসেচি–অtশ্চৰ্য্য আমার আব কোন কিছুই হয়নি। এক্ট, এই খানটা—য়, পাজবার ঠিক নীচেটা ?” আমি অত্যন্ত মনোযোগের সহিত পরীক্ষা করিয়া আহলাদের সঙ্গেই জানাচ্চি, যে সেটা একেবারে গুণিয়ে গিয়েছে, কোনও অপকার করবারই আর ওর শক্তি নেই .” আমার শুভসংবাদে তিনি যে কিছু খুলী হইলেন, তাহার মুখ দেখিয়া এমন কোন ভাবই বুঝিতে পারা গেল না, বরং এ সংবাদে তাহাকে যেন একটু বিরক্ত বলিয়াই মনে হইল। হয়ত আমার সেটা ভ্ৰম ! একটু চিন্তিত ভাবেই তিনি কহিলেন ভারতী মেরী,—আমার মাথাটা বেশ, কহিলাম “আমি আপনাকে খুব অগ্রহায়ণ, ১৩২০ “ঘটনাগুলো চিরদিনই আমার বিরুদ্ধে এম্নি বরেই ঘটে আস্চে ! যদি আমি ছাড়া অপর কোন লোকের এই রকম জর আর বিকার হোত, আপনারাই বলতেন, লোকটা বাচবে না—পীড়া মারাত্মক, অথচ সেই আপনিই বল্‌চেন আমার সে সব কিছুই ভয় নেই। আচ্ছা, এইটে দেখুন দেখি,—” তিনি র্তাহার বক্ষবরণ উন্মুক্ত করিয়া ঠিক্‌ হৃদয়ের উপরকণব একটা দাগ দেখাইয়া দিয়া কহিলেন, একটা পাহাড়ীর গোল এইখান দিয়ে চলে গেছ,ল । আপনি হয়ত মনে করবেন এটা এমন জায়গা যেখানে লাগলে মানুষ সেই মুহূত্তেই মারা প’ড়ে, কিন্তু দেখুন,—এতে আমার অব কি হবে—বুক দিয়ে গোলাট ঢুকে পিঠ দিয়ে সোজা চলে গেল। আপনারা, ডাক্তারর!— যাকে “প্লিউরা” বলেন তাতে ঠেক্‌লাই না—এম্নি আশ্চৰ্য্য ! এমন আর কখনও দেখেচেন ?” আমি হাসিতে হাসিতে কহিলাম “আপনি নিশ্চয়ই কোন শুভগ্রহে জন্মগ্রহণ করেচেন,—ত না হলে—” মাথা নাড়িয়া জেনারল কহিলেন “ন, সে সব মনের সংস্কার ! দেখুন ডাক্তার, যদি সাধারণ ভাবে মৃত্যু আসে, আমি— তাকে একটুকুও ভয় করি না,—সৈনিকে মৃত্যু ভয় করে না, কিন্তু আমি স্বীকার করছি— আপনি হয়ত বলবেন এটা আমার মায়ুর দুৰ্ব্বলতা, কিন্তু সত্যসত্যই কোন রকম অস্বাভাবিক মৃত্যুভয়ে আমায় স্বায়ুমণ্ডলীকে একেবারে বিকারগ্রস্ত করে তুলেচে, এ কল্পনা নয়, আমি তার বাস্তবছায় দিন রাতই যেন চোখের উপর দেখতে পাচ্চি ।” উত্তরচ্ছলে