৩৭৭ বর্য, অষ্টম সংখ্যা একটুখানি বিস্ময়ে থতমত খাইয়া আমি স্তম্ভুতাড়ি বলিয়া উঠিলাম “কেন, আপনি কি অস্বাভাবিক মৃত্যুর চেয়ে স্বাভাবিক মৃত্যু কমন করেন ?” “ন। আমি ঠিক্ ও ভাবেব কথা বলিনি, শীতল ইস্পৎ বা গুরুভাব সীসক, এদের সঙ্গে আমি এত বেশী পরিচিত যে এরা আমার অর্ণব ভয়েব জিনিষ নয়। ডাক্তাব, আপনি দৈব বলেব ক্ষমতা সম্বন্ধে জানেন কিছু ?” “মহাশয়, আমি ও সবের কোন থলব বসি ন৷ ” উত্তরের সহিত দ্রুত ব টাক্ষে আমব বোগর প্রতি চাঙ্গিয় কাবণ তাহাব কথার ভাবে মনে সন্দেহ জন্মাইতেছিল যে তাহার বিকাব পুনবায় ফিবিয়া আসিতেছে। কিন্তু না—জবের আরক্ত ভাব সম্পূর্ণ মিলাইয়া গিয়াছিল । চোখে মুখে তীক্ষ্ণ বুদ্ধিব একটা উজ্জ্বলতা দীপ্যমান। “আঃ,-পশ্চিম দেশীয় বিজ্ঞানবিদ আপনাবা, এ সকল বিষয়ে ঢেব পিছনে পড়ে আছেন। পার্থিব শাৰীরিক সুখবিধানেব উপায় যে সব জড় বিজ্ঞানে নিহিত আছে, সে সবে আপনারা যে খুব দ্রুত উন্নতি কচ্চেন সে কথা কেউ অস্বীকার করতে পারবে না, কিন্তু, এ ছাড়া প্রকৃতিব অসীম ক্ষমতা-- আত্মাব যে পার্থিব মহান শক্তি—তাতে ভাবতবর্ষের একটা সামান্ত মুটে মজুরও আমাদের চেয়ে এত বেশী উন্নত, যে বহু শতাব্দির বহু পরিশ্রমেও আমরা তাদের সমকক্ষ হতে পারব না। বংশপবম্পরাগত উত্তবাধিকার স্বত্ৰে-গোমাংস ভক্ষণে আর অমি দেখিলাম । অমাব রূপেষ্ট সৌধ-রহস্ত ذي ما বিলাসব্যসনে দেহমুখ ভোগ করে-- আমাদের আত্মা পশু প্রবৃত্তিব কেন্দ্রস্বরূপ হয়ে পড়েচে । এখন এত নীচে আমরা নেমে গেছি, দেহ যাহা আত্মাচালিত একটি যন্ত্রস্বরূপ হওয়া উচিত, সেই আত্মাকেই দেহ যেন গারদ ঘবে ভরে বেথেচে । বাসীব আত্মা ও দেহ এমন ভাবে জড়িত হয় নাই,-সেই জন্যই যখন মৃত্যুতে আত্মাব সহিত দেহের বিচ্ছিন্নত ঘটায়,-- তপন তাদের এমন বেগ পেতে হয় না, বা এ বকম মে!চড় দেয় না ।" আমি অবিশ্বাসেব সহিত মাথা নাড়িয়া কহিলাম “এই পাথকেjব দরুন, তাদের কিই বা এমন উপকাব হয়েছে ?” “বিশেষ কিছু নয়, কেবল উন্নত জ্ঞানের ঘে উচ্চফল তাই তাদেব লাভ ! আপনি যদি কথনও ভাবতবর্ষে যান, প্রথমেই একটা সামান্ত বিষয়ে উদাহরণ স্বরূপ দেখাই-—ধরুন, আমোদ আহল।দেব বিষয়,—মনে করুন একটা লোক আপনাব সামনে একটি আমেব অঁাটি পুস্তৰে, তfবপর তাব উপর আমাদের অজ্ঞাত ৰেঞ্চ রকম মন্ত্রশক্তিব প্রয়োগ করতে লাগগ, দেখঞ্জ দেখতে অস্কুব- অঙ্কুর থেকে গাছ-গাছে পাতা, মুকুল, ফল—ক্রমে অৰ্দ্ধ ঘণ্টার মধ্যে নবজাত বৃক্ষে সুপক্ক আমের আবির্ভাব। এসব চালাকী—ব ভেন্ধী নয়, এ তাদের একটা বিশেষ শক্তি, এই লোক গুলো আপনদের “টনডেল” বা হাস্কলির চেয়ে প্রকৃতি রহস্তে ঢের বেশী অভিজ্ঞ। তাবা ইচ্ছ শক্তির চালনায় প্রকৃতির গতি এমন ভাবে বৰ্দ্ধিত বা রুদ্ধ করতে পারে যে আমরা সে ভারত নজব পড়বে।
