পাতা:ভারতী কার্তিক-চৈত্র ১৩২০.djvu/১৪১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

, ** করিয়াছেন তাহার কারণ এই যে মাহিষ্য, বৃতিয়ান, নদীয়াল ও নমপূদ্র নামে কোন জাতি ভারতবর্ষের কোথাও নাই সুতরাং এই সকল নাম কান হীন জাতিকে দিলে অন্য কোন উচ্চতর জাতি তাহাতে অসন্তুষ্ট হইবে না । হিন্দুধৰ্ম্ম কোনরূপ নুতন আকার ধারণ না করিলে, ব্রাহ্মণের শ্রেষ্ঠত্ব স্বীকার করিলে এবং তাহণদের অঙ্কিত গণ্ডীর মধ্যে থাকিলে হীন জাতির অবস্থার উন্নতি হইতে পারে বলিয়া আমার বিশ্বাস হয় না । তিন বৎসর হইল একদিন কয়েকটা ভদ্রলোক অবনত জাতির উন্নতি কিরূপে হইতে পারে সেই বিষয়ে কথোপকথন করিতেছিলেন। একজন বলিলেন “হীন জাতির জল কখনই চল হইতে পারে না ।” আর একজন বলিলেন “হীন জাতিকে আমরা যদি চিরদিনই অস্পৃগু করিয়া রাথিতে ইচ্ছা করি তাহা হইলে তাহারা হিন্দুসমাজে থাকিরে কেন ? তাহারা যদি হিন্দুসমাজ ছাড়িয়া যায় হিন্দু বলিতে মুষ্টিমেয় লোক অবশিষ্ট থাকিবে এবং অল্পকালের মধ্যেই হিন্দুর অস্তিত্ব একেবারে লোপ পাইবে।” প্রথম ব্যক্তি বলিলেন “লোপ পায়. পাউক । তাহ বলিয়া কি আমি পিতৃশ্ৰাদ্ধ কালে অস্পৃষ্ঠ জাতির জল ব্যবহার করিয়া শ্রাদ্ধ পণ্ড করিব—না নিজের শরীর অপবিত্র করিয়া ধৰ্ম্মকৰ্ম্মের অধিকাৰ হইতে বঞ্চিত হইব ? মৃত্যু ত অপরিহার্য্য, হিন্দু সমাজকেও একদিন মরিতে হইবে । কিন্তু মরিবার ভয়ে কি পাপাচবণ করা উচিত ? হিন্দুশাস্ত্রের শাসন অমান্ত করিয়া অস্পৃষ্ঠা দিগকে সমাজ ভুক্ত করিয়া লওয়াই চিন্মু ভারতী অগ্ৰছায়ণ, ১৩২০ সমাজের আসল মৃত্যু। যদি হিন্দু ধৰ্ম্মের ব্যবস্থাই ন মানিলাম তাগ হইলে হিন্দুত্ব কোথায় রহিল ? হীন জাতিরা হিন্দু সমাজ ছাড়িয়া গেলে বরং সমাজ বললাভ করিয়া দীর্ঘ জীবন ভোগ করিবে। বিষদুষ্ট হাত পা কাটিয়া ফেলিলে সমস্ত শরীরের উপকারই হয় ! হীনজাতির অন্তধৰ্ম্ম অবলম্বন করিবে বলিয়া ভয় দেখায় কেন । একেবারে হিন্দুসমাজ ছাড়িলেই ত পারে।” ইত্যাদি অনেক কথা সেই ভদ্র লোকটি বলিলেন ! গোড়া হিন্দুমাত্রেরই এই যুক্তি । প্রচলিত হিন্দুধৰ্ম্মের দিক হইতে দেখিতে গেলে ইহা অযুক্তি বলিয়া বোধ হয় না। তবে মঙ্গুষ্যোচিত যুক্তির কথা ভিন্ন। প্রচলিত হিন্দুত্বও বজায় থাকিবে, হীনজাতিও চল হইবে এরূপ হইতেই পারে না। হয় হিন্দু ধৰ্ম্মের নুতন সংস্করণ করিতে হইবে নতুবা হীন জাতির মায়া ত্যাগ করিতে হইবে । কিয়ৎ পরিমাণে শিক্ষিত একটা হীন জাতীয় যুবককে আমি একদিন জিজ্ঞাসা করিয়াছিলাম “তোমরা যখন হিন্দুসমাজের অন্তায় অত্যাচারের অভিযোগ কর, যখন উচ্চ শ্রেণীর হিন্দুরা তোমাদের বর্তমান অবস্থায় তোমাদিগকে ঘৃণা করেন অথচ তোমরা মুসলমান বা খ্ৰীষ্টিয়ান হইলে তোমাদের প্রতি অধিক শিষ্টাচার প্রদর্শন করেন তখন তোমর একেবারে এই সমাজ ছাড়িয়া মুসলমান বা খ্ৰীষ্টিয়ান হওনা কেন ?” যুবকট বলিল “লোকে ত কেবল ঐহিক বিষয়ের চিন্তা করিয়াই সকল কাজ করিতে পারে না। হিন্দুধৰ্ম্ম ছাড়িলে পারত্রিক উদ্ধার সাধন হইবে কি রূপে ?” এই কথা শুনিয়া কাদিব