পাতা:ভারতী কার্তিক-চৈত্র ১৩২০.djvu/১৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩৭শ বর্ষ সপ্তম সংখ্যা বিবাহবন্ধন হইতে বর কন্ত উভয়েই নিস্কৃতি পায় । যে স্ত্রী এইরূপে অব্যাহতি পায় তাহার “নাত্ৰা” অর্থাৎ পুনৰ্ব্বিাহ করিবার বাধা নাই । অবিবাহিতা স্ত্রীর নাত্রা হইবাব বিধি নাই, সুতবাং বিবাহের নির্দিষ্ট কাল ভিন্ন তাহার বিবাহ হইতে পাবে না । কিন্তু একবাব নামমাত্র বিবাহ দিতে পাবিলে পুনৰ্ব্বিবাহ সম্ভবে ও এইরূপ বিবাহেব কোন নিরূপিত সময় নাই, যপন ইচ্ছা দেওয়া যাইতে ‘বাহুরব’ বিবাইক্রিয়া সম্পন্ন হইলাব পব-ক্ষণেই বর স্বকীয় আলয়ে গমন কবে । কন্তু পিতৃগৃহে আসিয়া হাতেব চড়ি ফেলিয়া দিয়া স্নান কবে, যেন তবে স্বামীর মৃত্যু হইয়াছে। পবে সুবিধা হইলে পিতামত তাঙ্গর নাত্রাব ব্যবস্থা করিয়া দেন । মুসলমানদের যেমন নিকা, নীচবর্ণ হিন্দু গণেব সেইরূপ নাক্রা । নীত্রাতে বিবাহেব অনুষ্ঠান পদ্ধতি কিছুই আবশুক হয় না, বিবাহেব ন্তায় তাহাতে ব্যয় বাহুল্যও নাই । অল্প বয়সে পতিগুহে গমন কবিবাব পূৰ্ব্বেষ্ট যে রমণীর বৈধব্য হয় অথবা পূৰ্ব্বোল্লিখিত প্রকাবে নামস্থ বিবাহের পর যে স্ত্রীর পুনৰ্ব্বিবাহ হয়, তাহার নাত্রা অপেক্ষাকৃত আড়ম্ববেব সহিত সম্পন্ন হইয়া থাকে । বরের ধূতির অঞ্চল ও কস্তার সাড়াব অঞ্চলে গাঠ দেওয়া হয়, ও এইরূপ গ্রন্থিবদ্ধ দম্পতী অশ্বকঢ় হইয়া জনতার মধ্য দিয়া গীতবাদ্যের সঙ্গে সঙ্গে গৃহে প্রবেশ করে । পুরোহিত তাহাদিগকে গণপতি পূজা করাইয়া বিবাহের অনুষ্ঠান সম্পন্ন করেন। ইহার নাম নাত্ৰ ! এইরূপ শুনা যায় যে, কণী জাতিব মধ্যে পাবে । তথায় আমার বোম্বাই প্রবাস a8○ অজত সস্তানদিগেরও বিবাহের সম্বন্ধ, কখন কথন স্থির হইয়া থাকে । দুই প্রতিবেশীর নিজ নিজ পত্নী গর্ভবতী হইলে তাহার এইরূপ যুক্তি করে যে তোমার পুত্র আমার কষ্ঠা, কিম্বা আমার পুত্র তোমার কন্ঠ হইলে তাহাদের পরস্পব বিবাহ হইবে । এইরূপ ধার্য্য হইলে সত্য সত্যই যদি এক স্ত্রীর কন্ত। ও অপবেব পুত্র জন্মে ত অঙ্গীকার মত উপযুক্ত সময়ে তাহাদেব বিবাহ দেওয়া হয়। সকলের কূল সমান নছে। পূৰ্ব্ব পুরুষেব কৃতি ও সুখ্যাতি বশতঃ কোন কোন বংশ বিশেষ গোববের পাত্র হইয়াছে। এক্ষণে জন্মভূমিব উপব বংশমর্য্যাদা প্রতিষ্ঠিত দেখা যtয় । আহমদাবাদের আদিমবাসী কণবীগণ কুলশীলে শ্রেষ্ঠরূপে প্রখ্যাত। কুলীনের সহিত কস্তার কিসে বিবাহ হয় ইহাবই উপব ঃি অনেকট। পিতামাতার বিশেষ লক্ষ্য । নীচকুলে কস্তাদান মহা অপমানেব বিষয়, কুলীন যদি হত শ্ৰী বা বিগত-যৌবন হয় তথাপি সে প্রার্থণীয় । ৫০ বৎসর বয়স্ক কুলীনের সঙ্গে তাহারা দশম বর্ষীয়া বালিকার বিবাহ দিতে কুষ্ঠিত হন না। উচ্চ কুলের বর পাইতে হইলে অনেক অর্থের প্রয়োজন ও বিবাহের অনুষ্ঠানেও বিস্তর ব্যয়। এই হেতু কুলাভিমানী নিধন কণবী এবং রাজপুতদের মধ্যে কন্যাহত্যা এত প্রচলিত ছিল। কহ ভূমিষ্ঠ হুইবামাত্র তাহাকে এক দুগ্ধ পূর্ণ পাত্রে ফেলিয়া দিয়া পিতামাত কন্যাদায় হইতে নিস্কৃতি পাইতেন, এই প্রথার নাম ‘দুগ্ধপীতি’ | ইহা বলা বাহুল্য যে ইংরাজ রাজ্যে এ নিয়ম এক্ষণে সতীদাহ ও অন্যান্ত নিষ্ঠুর প্রথ'ব ন্তায় রাজ শাসনে বিলুপ্ত হইয়াছে।