পাতা:ভারতী কার্তিক-চৈত্র ১৩২০.djvu/১৬৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৮৯২ জানিবে যে উহা ক্ষিপ্ত নহে। এরূপ স্থলে কসোঁলি যাইয়া পাইরের মতে চিকিৎসা করিবার প্রয়োজন হয় না, তবে দংশিত স্থান নাইটিক বা কাৰ্ব্বলিক এসিড প্রয়োগ দ্বারা পুড়াইয়া দেওয়া অবশু কৰ্ত্তব্য। যদি কুকুর ১০ দিনের মধ্যে মরিয়া যায়, তাহ হইলে মৃত কুকুরের মুগুটী বেলগাছিয়া পশুচিকিৎসালয়ে পরীক্ষার জন্য পাঠাইবে। তথায় পরীক্ষা দ্বারা প্রমাণিত হইবে যে কুকুর ক্ষিপ্ত কি না । কিন্তু এই পরীক্ষা-ফলের অপেক্ষ না করিয়াই যত শীঘ্র সম্ভব, কসৌলিতে চিকিৎসার জন্ত গমন করিবে । দংশন মস্তকে, মুখে বা শরীরের উদ্ধভাগে হইলে অতিশয় বিপজ্জনক বলিয়া জানিবে এবং কাল বিলম্ব না করিয়া কসৌলিতে চিকিৎসার জন্ত প্রস্থান করিবে। পদদেশে দংশন হইলে কিছুকাল বিলম্ব লইলে বিশেষ ক্ষতি হয় না, কারণ এই রোগের বীজ কিছুদিন ক্ষত স্থানে আবদ্ধ থাকে, তৎপরে আস্তে আস্তে মস্তিষ্কের দিকে অগ্রসর হইতে থাকে । সুতরাং মস্তক হইতে ক্ষত স্থান যত দূরে অবস্থিত হইবে,ততই ভারতী অগ্রহায়ণ, ১৩২০ রোগের তীক্ষতার হ্রাস এবং প্রকাশ হইবার বিলম্ব হইয়া থাকে। যাহা হউক, যদি কুকুর ক্ষিপ্ত বলিয়া প্রমাণিত হয়, অথবা যে কুকুরে কামড়াইয়াছে, তাহার কোন সন্ধান না পাওয়া যায়, তাহ হইলে একদিনও বিলম্ব না করিয়া .কসৌলি চলিয়া যাওয়া উচিত। ৪ । যে ব্যক্তিকে কুকুরে কামড়াইবে, তাহার নিকট ঐ রোগ সংক্রান্ত কোন গল্প করিবে না । কোনরূপে তাহার মন যাহাতে উত্তেজিত না হয়, তদ্বিষয়ে সবিশেষ লক্ষ্য রাখিবে। কথাবার্তায় ও কার্য্যে তাছার হৃদয়ে যাহাতে ভয়ের সঞ্চার না হয়, তাহার চেষ্টা করিবে। অনেক স্থলে শুদ্ধ ভয় পাইয়া রোগীকে এরূপ উত্তেজিত হইতে দেখা গিয়াছে যে চিকিৎসক পর্য্যস্ত ঐ রোগের আবির্ভাব হইয়াছে বলিয়া সন্দেহ করিয়াছেন, কিন্তু পরে দেখা গিয়াছে যে কুকুর ক্ষিপ্ত নহে এবং রোগের মিথ্যা লক্ষণ ক্রমে উপশম প্রাপ্ত হইয়াছে। এই অত্যাবশুক বিষয়টা আমাদের সর্বদ মনে রাখা উচিত। ( সম্পূর্ণ) ঐচুনীলাল বস্তু। চাউকৃ-ওয়াইঙ্গ পাগোদ সোয়ে-ড়েগন প্রভৃতি প্রসিদ্ধ পাগোদা ব্যতীত রেঙ্গুনের নিকটে আরও পাঁচটা ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র পাগোদ আছে । বৎসরে একদিন এই সকল পাগোদার পাদদেশে মেলা বসে এবং সেদিন ব্ৰহ্মদেশবাসিগণ গো-যান, নৌক৷ এবং রেলযোগে উৎসবার্থ তথায় সম্মিলিত হয়। উপ রোক্ত পাচটা পাগোদার মধ্যে চাউকু-ওয়াইঙ্গ পাগোদ সম্বন্ধে ব্ৰহ্মদেশবাসীদের মধ্যে এক অদ্ভুত কিম্বদন্তী প্রচলিত আছে। নিম্নে তাহা বিবৃত হইল। পুরাকালে ইয়ে-গিনু (১) নামক ক্ষুদ্র নগরের অধিপতির সা সোয়ে বুরিনু নামক এক পরম রূপবতী যুবতী কস্তা (১) জোয়ারের সময় ইরাবতী নদীর স্রোত নগরকে স্পর্শ করিতে পারিত না বলিয়া নগরের নাম ছিল ইয়ে-গিন অর্থাৎ স্রোতঃ-মুক্ত ।