পাতা:ভারতী কার্তিক-চৈত্র ১৩২০.djvu/১৭৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩৭শ বর্ষ, অষ্টম সংখ্যা বদরগুলি দেখে তাদের সঙ্গেই আলাপে প্রবৃত্ত হতেন “আরে, কায়সা হয়, তবিয়ৎ আচ্ছি হায়” ইত্যাদি । না হয় একলাই অগ্রসর হয়ে মাথা নীচু করে অন্ত মনস্ক ভাবে বকে যেতেন—কথনো সেকালের কোন নামজাদা সাহেবের গালভর। যথ} Sir Alexander Coburn fool fritsa নাম, sừxt=Iq xiữni siste I owe every thing I have in this world to Mr Tucker.” সেই যে টকার সাহেব তার সাহায্য করেছিলেন, সে কথা তিনি জীবনে ভোলেন নি, এবং চিরকাল তার প্রতি মনে মনে কৃতজ্ঞতা পোষণ করেছেন। এ বড় সাধারণ সদগুণ নয়। তার টাকা শোধ করে দিয়েছেন, শুধু তা নয় তাছাড়া টকারের ছেলেমেয়ে যার যখন কোন টাকার দরকার, জানবামাত্র অকাতরে তাদের সাহায্য করেছেন । এরূপ যাবজ্জীবন আন্তরিক কৃতজ্ঞতার দৃষ্টান্ত আজকালকার দিনে বিরল। পাওনাদার ঋণের কথা স্মরণ করিয়ে দিলে উণ্টে। তার উপরেই ঋণীব তম্বী, উপকারের প্রত্যুপকাব অনেক স্থলে এইরূপই দেখা যায়। বিদ্যাসাগর মহাশয়ের উপর কেউ কোনরূপ অসদ্ব্যবহার করলে তিনি বলতেন, “কৈ, আমিত ওর কখনো কোন উপকার কবেছি ব’লে মনে পড়ে না, তবে আমার পবে চটেছে কেন ?” গোবিন্দ কড়কড়ের জীবন, মন, ধরণ ধারণ সবই একটু অসাধারণ। তার মজার রকম সকম দেখে আমরা মুখে তাকে পাগল বলে ঠাট্টা করি বটে, কিন্তু সে পাগল বেহারী আমার বোম্বাই প্রবাস నరి 4 চক্ৰবৰ্ত্তীর গানেব "পাগল মানুষ’ স্মবণ করিয়ে । দেয় – পাগল মানুষ চেনা যায়— ও ভার হাসি হাসি মুখশশী, খুলী ফোটে চেহারায় । (১) সাতারা সোলাপুর হইতে সাতারায় আমার বদলি হয়। সাতার শিবাজী ও র্তাহার বংশধর রাজগণের বাসস্থান । এই ঐতিহাসিক ক্ষেত্রে আমার সব্বিসের শেষ তিন বৎসর অতিবাহিত হয়। সেখানেই আমি কার্য্য শেষ করে ১৮৯৭ সালে অবসর গ্রহণ করি । শতাব্দীর শেষ পর্য্যন্ত ঐ দেশে কাটাবার ইচ্ছা ছিল কিন্তু ভগবানের মঞ্জী অন্তরূপ। নানা কারণে কৰ্ম্মত্যাগ করে দেশে ফিরে আসতে বাধ্য হলেম । গৃহে আমার জীবনস্রোত অন্ত দিকে ফিবে গেল, সেই স্রোতে আমার এখনকাব এই বয়সে এসে পৌছেছি! অtহার প্রণালী সাতারায় মারাঠীদেব মধ্যে অনেকের সঙ্গে আমার দেখা শুনা ও বন্ধুভাবে মেলামেশা হত। কখনো বা কোন মারাঠী বন্ধুর বাড়ী ভোজনের নেমন্ত্রণে যেতে হত। এদেশেব ব্রাহ্মণ মাত্রেই নিরামিষ ভোজী, মাছ মাংসের কোন পাঠই নেই। সামান্ততঃ বলতে গেলে বোম্বাইবাসীরা রুটিখোর, বাঙ্গালীদের মত ভাতজীবী নয়। কিন্তু এ নিয়মের ব্যতিক্রম আছে । কোঙ্কন, কানাড়া প্রভৃতি স্থানে (১) গোবিশ কড়কড়ের এই জীবনচিত্র আমার কথা শ্ৰীমতী ইন্দিরা দেবী কর্তৃক অঙ্কিত।