পাতা:ভারতী কার্তিক-চৈত্র ১৩২০.djvu/১৭৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

૪ના বর্গীরা শস্ত্রার্চনা করে মহাসমারোহে যুদ্ধ যাত্রায় বেরতো । দশারায় অশ্ব সকল চিত্র বিচিত্র ফুলের মালায় সজ্জিত হয় ও নীচ জাতীয় লোকের মেষ মহিষাদি বলিদানে মেতে যায়। ব্রাহ্মণদের মধ্যে প্রকাশ্যে পশুবলি হয় না কিন্তু দেবী রুধিরপ্রিয়, গোপনে কি কাও হয় কে বলতে পারে ? তার নমুনা আমি যা কারওয়ারে পেয়েছি তা যদি সত্যি হয় তার থেকে অনুমান অনেক দূর পর্যন্ত গড়াতে পারে। কারওয়ারে আমার একটি পরিচিত ব্রাহ্মণের বাড়ী ফুর্গোৎসব হয়েছিল। উৎসবের পর সেই বাটীর এক ভূত্য বালহত্যা অপরাধে সেসনে সোপর্দ হয়। বিচারস্থানে বালহত্যার কারণ এই বলা হয় যে গৃহিণী পুত্রসস্তান কামনা করে দেবীর কাছে নরবলি মানৎ করেছিলেন সেই মানংরক্ষা মানসে ভূত্যকে দিয়ে এই কাণ্ড করান হয় । প্রমাণ হ’ল যে আরতির সময় বালকটকে দেবীর সম্মুখে ধরা হয়েছিল, পরদিন প্রভাতে গৃহপ্রাঙ্গণে বালকের মৃতদেহ পাওয়া যায় । খুনের উদেশু চুরি নয়, কেন না বালকটির অঙ্গের আভরণ যেমন তেমনি ছিল, তা হরণ করবার কোন চেষ্টা করা হয় নি ; অপর কোন উদ্দেশ্যও প্রকাশ পায় নি.-বলি অছুমান নিতান্ত অমূলক বলে বোধ হ’ল না । দশারার পর দেওয়ালী। ইহাই বোম্বাই বাসীদের প্রধান উৎসব । সাধারণ সকল সম্প্রদায়ের লোকেই এতে যোগ দিয়ে থাকে। হিন্দু মুসলমান পারসী সকলেই নিজ নিজ গৃহে রেসিনাই দিয়ে উৎসবে মত্ত ভারতী অগ্রহায়ণ, ১৩২৯ হয় । ধনত্রয়োদশী হতে এই উৎসবের আরম্ভ ও অমাবস্তায় শেষ। বাঙ্গালাদেশে এ সময় কালীপূজা হয়, কিন্তু বোম্বাই প্রদেশে এই উৎসবের অধিষ্ঠাত্রী দেবতা লক্ষ্মী । অমাবস্তার দিন বিক্রম সম্বৎসরের শেষ দিন, সেই দিনই উৎসবের প্রধান দিন। সেই দিনই চারিদিকে রোসনাইয়ের ঘট । সেই দিন বণিকদের বহিপূজনের দিন। তারা তাদের পুরাতন হিসাবপত্র গুটিয়ে দানধ্যান দেবাচৰ্চনায় উৎসব সম্পাদন করে ও নবোৎসাহে নববর্ষের কার্য্যে প্রবৃত্ত হয় । ভক্ত-চুড়ামণি পবননন্দনের পূজা আমাদের দেশে প্রচলিত নাই কিন্তু মারাঠীদের মধ্যে খুবই চলিত ; এমন কি, মারুতি-মন্দির মারাঠী পল্লীচিত্রের এক প্রধান অঙ্গ। গণেশ ঠাকুরেরও মানমর্য্যাদা সামান্ত নহে। আমাদের দেশে গণেশ ঠাকুরের জন্তে স্বতন্ত্র উৎসব নাই, ওদিকে গণেশ চতুর্থীতে গণেশ পূজা ও বিসর্জন মহাসমারোহে সম্পন্ন হয়ে থাকে। দোলযাত্রার সময় ( হোলী) আবীর খেলা আমোদ প্রমোদ সৰ্ব্বত্রই সমান। মহলাররাও গাইকওয়াড় এই খেলায় অত্যন্ত আসক্ত ছিলেন। প্রবাদ এই যে তিনি একবার এক হাতীর উপর ক্ষুদ্র কামান বসিয়ে সেখান থেকে একদল নর্তকীর উপর আবীর বর্ষণ করেছিলেন, সেই ভয়ঙ্কর পিচকারীর স্রোতে এক বেচারী প্রাণসঙ্কটে পড়েছিল ! ভ্রাতৃদ্বিতীয়াকে বোম্বায়ে যমদ্বিতীয় কহে। ভাই বোনের মিলন ও সদ্ভাববৰ্দ্ধন এই উৎসবের উদ্দেশু। ভাই ভগিনী-গৃহে ভোজনে নিমন্ত্রিত হয়। ভগ্নীভায়ের কপালে