পাতা:ভারতী কার্তিক-চৈত্র ১৩২০.djvu/১৮০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

* ৩৭শ, বর্ষ অষ্টম সংখ্যা তিলক দিয়ে তাকে বরণ করে, অনন্তর ধনরত্ন উপহার দানে ভগ্নীর স্নেহের প্রতিদান ও পরিতোষ সাধন করতে হয় । গানবাজন। বাঙ্গালীরা যেমন গানবাজনাভক্ত আমি যতদূর দেখেছি মারাঠীবা তেমন নয়। বাঙ্গালী আমোদপ্রিয় সেখীন জাতি, মারাঠীদের প্রকৃতি অন্ততর। তাবা ব্যবসায়ী Practical লোক, কলাবিদ্যার প্রতি তাদের ততট অনুরাগ নাই। আমার একজন মারাঠা বন্ধু বলেছিলেন—তিনি কলকাতায় গিয়ে দেখলেন বাঙ্গালীরা অত্যন্ত তামাক ও সঙ্গীত প্রিয়, যে বাড়ীতে যাও একটি হুক ও তানপুর। তাই বলে ওদেশে গীতবাষ্ঠের চর্চা বা আদর নেই তা নয়। তবে আমার মনে হয় যে, সঙ্গীতবিদ্যা প্রায়ই পেশাদার লোকেদের মধ্যে বদ্ধ, ভদ্রলোকের মধ্যে গীতবাষ্ঠে মুনিপুণ অতি অল্প লোকই দেখা सूॉग्न ! সামান্তত বলা যেতে পারে এ দেশের গীতের আদর্শ হিন্দুস্থানী খেয়াল ধ্রুপদ। এই সাধারণ নিয়ম, স্থানে স্থানে রূপান্তরও দৃষ্ট হয়। মারাঠীদের মধ্যে সাকী, দিণ্ডি, অভঙ্গ প্রভৃতি কতকগুলি দিশী ছন্দে নুতন ধরণের গান ও তান শুনা যায় আর "লার্ডনী’ নামক একপ্রকার টপ্পা আছে তাহাই খাট প্রাদেশিক জিনিস। আমাদের দেশের খোল কৰ্ত্তাল সমেত সঙ্কীৰ্ত্তনের মত সমবেত ধৰ্ম্মসঙ্গীত ওদেশে শুনি নাই। ওদেশের ‘কথা’ কতকটা আমাদের কথকতার অনুরূপ। কিন্তু এ দুয়ে একটু প্রভেদও আছে। পুরাণাদি গ্রন্থ হতে হৃদয় আমার বোম্বাই প্রবাস సిరిసి গ্রাহী উপন্যাস বিবৃত করে বলা বাঙ্গল দেশের কথকতা ; আর এদেশের কথা আছে৷পান্ত একটি ভাবস্থত্রে গাথা, সেইটি বিস্তার করে শ্রোতৃবর্গের মনে মুদ্রিত করা কথার উদ্দেষ্ঠ । একটি নীতিসূত্র অবলম্বন করে গান ও উপন্যাসচ্ছলে তার ব্যাখ্যা করার নামই কথা । এই প্রসঙ্গে যে সকল কবিতা ব্যবহৃত হয় তা তুকারাম প্রভৃতি প্রাচীন কবিদের কাব্যখনি হইতে সংগৃহীত। আমি একবার এক জায়গায় কথা শুনেছিলাম, তাতে বিনয়ের মাহাত্ম্য, অনিয়ের অনর্থ সুন্দরব্রুপে দেখানে হয়েছিল ; যে বিষয়টি নিয়ে কথা হয়েছিল তা তুকারামের এই অভঙ্গ :– লহীন পণ দে গা দেবী মুগী সাথরেচা রব । ঐরাবতী রত্ন থোর ত্যাশী অস্কুশাচ মার ॥ জ্যাচে অঙ্গী মোঠেপণ তয়া যাতন কঠিন ৷ তুক ক্ষণে জান্‌ হবাবে লহানাহুনি লহান ॥ দেহ দেব নম্রপন, মুগী (৩) পায় মিষ্ট কণা। ঐরাবত হস্তীরাজে অস্কুশের মীর বাজে। যার দেহে অহঙ্কার কঠিন যাতনা তার । তুক কহে জান সবে ক্ষুদ্ৰাদপি ক্ষুদ্র হবে। (e) :