পাতা:ভারতী কার্তিক-চৈত্র ১৩২০.djvu/১৮৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

為>3 • মুহূর্বের জন্ত কটাহখানি চুল্লির উপর স্থাপন করে, এবং পুনরায় তাহা দুই হন্তে মাথার উপর উচু করিয়া তুলিয়া নৃত্যগীতে মত্ত হয়। তৎপর স্ত্রীলোকদিগের মধ্য হইতে একজন কুমারীকে বাহির করিয়া আনিয়া, সেই কটাগুটীব ভার অর্পণ করিয়া অন্ত কাহার ও সাহায্য ব্যতীত তাহাকে ৫খানি পিষ্টক ভাজিতে অনুরোধ করে । পাঁচখানি পিষ্টক প্রস্তুত হইলে কুমারী অন্তান্ত স্ত্রীলোকগণের উপর সমবেত লোকগণের আহার্য্য প্রস্তুত করিবার ভার অর্পণ করে ; এবং তাহারাও আহলাদের সহিত সেই ভার গ্রহণ করে। স্ত্রীলোকগণ রন্ধনের কার্য্য আরম্ভ করিয়া দিলে পর, তাহারা অন্ত একটা গৃহে গমন করিয়া সমস্ত রাত্রি নৃত্যগীত আমোদপ্রমোদে অতিবাহিত করে । এই রাত্রিকে "তাওয়াই রাত” বলে । যদি বরকে কোন দূরবর্তী গ্রামে কস্তার বাড়ীতে যাইতে হয়, তাহা হইলে শোভাযাত্রার দিবস প্রত্যুষে বর গান করিয়া যতদূর সম্ভব ভাল পোষাক পরিধান পূৰ্ব্বক নিম্নলিখিত গীতটা একবার উচ্চারণ করিলে পর, তাহার অনুচরগণ সমস্বরে সেই পংক্তিটা পুনরাবৃত্তি করে-- “প্রণমিব আগে মায়ের চরণে স্তম্ভ দিয়েছেন যিনি।” তৎপর বর তাহার মায়ের চরণে প্রণাম করিয়া আসিলে পর বরযাত্রীগণ নিম্নলিখিত কবিতাটা আবৃত্তি করে— ওরে পাথর তুই ভারী হ, শুভদিন আজ এসেছে, ওরে পাথর তুই ভারী হ, সোনার সঙ্গে তোর ওজন হবে। সন্ধ্যার সময় যখন বরযাত্রীগণ তাহাদের গন্তব্য স্থানের নিকটবৰ্ত্তী হয়, তখন বিকটস্বরে ভারতী । অগ্রহায়ণ, ১৩২০ উল্লাস ধ্বনি করিয়া আপনাদের আগমনবার্তা জ্ঞাপন করে । কন্যাপক্ষও সেই রাসভবিনিন্দিত আনন্দ ধ্বনির একটা অনুরূপ প্রত্যুত্তর প্রদান করিয়া, বরপক্ষকে সম্ভাষণ করিবার মানসে বাহির হইয়া আইসে। পরে উভয় পক্ষ কস্তার বাটীতে উপস্থিত হইয়া ছড়া, কবিতা ও সঙ্গীত সংগ্রামে প্রবৃত্ত হয় । সেই সকল গানে কেবলমাত্র তাহাদের পূর্বপুরুষগণের এবং গ্রামের প্রধানগণের মহত্ত্ব ও বীর্য্যকাহিনী থাকে। অতিগৰ্ব্বের সহিত এইরূপ গান গাহিয়া একে অন্তকে পরাজিত করিবার অভিলাষে, কন্যাকৰ্ত্তার বাড়ী থানি মুখরিত করিয়া তোলে। তৎপর আহ|রাদি সম্পন্ন হইলে নৃত্যগীতাদিতে অধিক রাত্রি পৰ্য্যস্ত কাটায়। একজন মল্ল শোভাযাত্রার সময় বরের সঙ্গে সঙ্গে থাকে ; পরদিন প্রাতঃকালে সেই মল্ল বিবাহের মন্ত্র পাঠ করে । কস্তার পিতা সেই সময় কস্তার জন্ত গহন কাপড় চোপড় এবং থালা বাসন ইত্যাদি লইয়া আইসে । কস্তার পিতা সঙ্গতিপন্ন হইলে কস্তাকে এই সকল বস্তু প্রদান করিবার জন্ত বরের নিকট হইতে মূল্য আদায় করিয়া লয় না। কিন্তু মূল্য না দিলে স্বামীর আর স্বীয় সম্পত্তির উপর কোন প্রকার দাবী থাকে না, তখন স্বামীর সম্পত্তি স্ত্রীর বলিয়া গণ্য হয়, এবং স্বামীর মৃত্যুর পর স্ত্রী ইচ্ছানুসারে পুরুষান্তর গ্রহণ করিতে পারে। কোন দরিদ্র পিতা বিবাহের উপকরণাদি অর্থাৎ থালা, ঘটী, বাট ইত্যাদি কন্ত"র সহিত প্রদান করিতে অসমর্থ হইলে, বরের পিতা কঙ্কার পিতার নির্দেশ মত সেই মূল্যের কোন জিনিষ কস্তার পিতাকে দান