পাতা:ভারতী কার্তিক-চৈত্র ১৩২০.djvu/১৮৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ぶ)。ゲ গৃহ হইতে চলিয়া গেলে গৃহী ঘোর অমঙ্গল আশঙ্কা করিত ও মহাপাপে পতিত হইবার ভয়ে শিহরিয়া উঠিত। একদিকে পিতার নিকট প্রতিশ্রুতি, অন্যদিকে আহাৰ্য্য সমীপে উপবিষ্ট অতিথি ব্রাহ্মণসন্ন্যাসীর অভুক্ত অবস্থায় প্রত্যাবৰ্ত্তন— এই দুই চিন্তা ব্রাহ্মণকন্যাকে নিরতিশয় ব্যাকুল করিয়া তুলিল। অবশেষে তিনি স্থির করিলেন, হিন্দুর গৃহ হইতে অভুক্ত অবস্থায় অতিথি ফিরিয়া যাইবে—ইহা কোনরূপেই হইতে পারে না। তিনি সন্ন্যাসীকে বলিলেন—তুমি অtহার কর আমি অতিথিসেবাব্রত পালন করিব। সন্ন্যাসী আহারে প্রবৃত্ত হইলেন। ব্রাহ্মণকস্তা তখন অতিথিকে দক্ষিণ প্রদানের উদ্যোগউদ্দেশ্যে দেব-গৃহে প্রবেশ করিলেন। ভোজন সমাপ্ত হইলে আচমনাদি সাঙ্গ করিয়া সন্ন্যাসী কিছুক্ষণ অপেক্ষা করিলেন। কিন্তু কেহই তাহার দক্ষিণ লইয়া আসিল না। তিনি ব্রাহ্মণ কন্যার অনুসন্ধানে দেব-গৃহদ্বারে উপস্থিত হইয়া দেখিলেন দ্বার রুদ্ধ। পুনঃপুনঃ আহবানেও কেহ দ্বার মুক্ত করিল না । তিনি দ্বার ঠেলিলেন । ঠেলিবামাত্র তাহা মুক্ত হইল। গৃহ-মধ্যে প্রবেশ করিয়া সন্ন্যাসী দেখিলেন-যোগাসনে উপবিষ্ট ব্রাহ্মণকস্তার করদ্বয় বক্ষে নিবদ্ধ, চক্ষু মুদ্রিত—এই অবস্থায় র্তাহার উৎক্রান্তি ঘটিয়াছে।—সম্মুখে শিলামূৰ্ত্তি বিদ্যমান। এইরূপ ঐকান্তিকী ভক্তির উজ্জল দৃষ্টান্তে বিহ্বল হইয়া মুগ্ধনেত্রে তাহার দিকে কিছুক্ষণ চাহিয়া রছিলেন ও পরে পল্লীর কয়েক ব্যক্তিকে তথায় আহবান করিয়া লইয়া আসিলেন। তাহার ব্রাহ্মণকস্তার দেহ সৎকারার্থে লইয়া গেল। সন্ন্যাসী শিলা ७बंउँौ অগ্রহায়ণ, ১৩২০ মূৰ্ত্তি লইয়া প্রত্যাবর্তন করিলেন। সত্যদেব কতদূর ভক্তপুরুষ ছিলেন, এই প্রবাদবাক্যই তাহার প্রকৃষ্ট প্রমাণ । 8 শান্তিপুর হইতে আসিয়া সত্যদেব গুপ্তপাড়ায় নিজ আশ্রমে শিলামূৰ্ত্তি প্রতিষ্ঠিত কবেন। তিনি প্রকৃত ভক্ত ছিলেন। শোকার্তের সাত্বন, আৰ্ত্তের সাহায্য, পীড়িতের শুশ্রুষা তাহার দৈনন্দিন কৰ্ম্ম ছিল । গ্রামের নরনারী তাহাকে দেবতার দ্যায় ভক্তি করিত ও তাহার আশ্রমদেবতার পূজার নিমিত্ত রাশি রাশি দ্রব্য সামগ্ৰী তাহার নিকট প্রেরিত হইত। তিনি ঐ সমস্ত দ্রব্য দেবতাকে উৎসর্গ করিয়া পুনরায় তাহ গ্রামবাসী ও দীনদুঃখীগণের মধ্যে বিতরণ করিতেন । আজীবন তিনি দেবসেবায়ু অতিবাহিত করেন। তাহার আশ্রম দেবতা শ্ৰীশ্ৰী9বৃন্দাবনচন্দ্র জীউ নামে পরিচিত হইলেন । যে স্থানে স্বামী সত্যদেবের কুটার ছিল তাহার অনতিদূরে এখন শ্ৰীশ্ৰীeবৃন্দাবনচন্দ্রের সুবৃহৎ মন্দির বিদ্যমান। এইস্থানে আরও কয়েকট মন্দির আছে, তন্মধ্যে ৫/বৃন্দাবনচন্দ্রের মন্দিরটা সৰ্ব্বাপেক্ষা মনোহর। মন্দিরের অভ্যন্তর দৃশু অতীব মনোমুগ্ধকর সুন্দরভাবে চিত্রিত। মন্দিরট এরূপ নিপুণতার সহিত চিত্রিত যে দেখিলে মনে হয় সবেমাত্র ইহার চিত্রাঙ্কণ-কাৰ্য্য সমাধা হইয়াছে। তন্মধ্যে মৰ্ম্মর বেদী, তদুপরি শ্বেত প্রস্তর বিনিৰ্ম্মিত রাধাকৃষ্ণের অপরূপ সৌনর্য্যবিশিষ্ট যুগলমূৰ্ত্তি বিরাজিত । অন্ত মন্দিরগুলির মধ্যে একটতে জগন্নাথ,