পাতা:ভারতী কার্তিক-চৈত্র ১৩২০.djvu/১৯৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

મરર যেটুকু সাপ সেটুকু সাগ্রহে বাধা দিচ্চে তাতে৷” বলিতে বলিতে কুমারী নেত্রাসারে অভিষিক্ত হইয়া উঠিল। আমি বিস্মিত হইয়া ভাবিতে লাগিলাম কুমারীর সহজ জ্ঞান আছে ত' ? কিন্তু তাহার সেই সাপের কথা শুনিয়া তাহার জ্ঞান আছে বলিয়া বিশ্বাস হইল না । কুমারী চক্ষু মুছিয়া বলিতে লাগিল,-- “শোন এন্‌টনিয়ো! তুমি একদিন আমায় সাপ ব’লে ঠাট্টা ক’রেছিলে মনে আছে ?” সে কথা আমার বেশ স্মরণ ছিল ; তাহার সেই সৰ্পের ন্তায় বক্র গতি, অদ্ভূত প্রকারে মস্তক আন্দোলন করিবার অভ্যাস, মধ্যে মধ্যে সেইসুন্দর চক্ষুর কুটিল অথচ ভাবহীন দৃষ্টি প্রভৃতি দেখিলে তাহাকে সর্প বলিয়াই মনে হইত। কুমারী তাহার বক্ষের একস্থানের বস্ত্র কিঞ্চিৎ অপস্থত করিয়া বলিল,—“এই দেখ সাপের চিহ্ন !” আমি বিস্ময়বিহ্বল দৃষ্টিতে সেই সপাকৃতিটা দেখিতে লাগিলাম। সেটি ঠিক একটা নিপুণ চিত্রকরের তুলিকানিঃস্বত নিখুঁত গোখুৱা সৰ্পের চিত্র ; তাহা এতই স্বাভাবিক যে চিত্র বলিয়া মনে হওয়া অসম্ভব । কোন উপায়ে যে সেটি কুমারীর দেহ হইতে অপস্থত করা যাইতে পারে তাছা মনে হইল না । দগ্ধ করিলেও সে চিন্তু মুছিবার নহে। সে বলিতে লাগিল,—“আমার জন্মের কিছুদিন পূৰ্ব্বে আমার মা একটি গোখুর সাপের ভয়ে অস্থির হয়ে পড়েন। স্বপ্নে জাগরণে তাহার হাত হতে তিনি নিস্তার পান নাই। অবশেষে যখন আমি মাতৃহার ভারতী অগ্রহায়ণ, ১৩২৪ হ’য়ে পৃথিবীতে এলাম সেইক্ষণ থেকেই এই সাপের ছবি আমার বুকে অঙ্কিত ; এ কৃত্রিম নয়, আজন্ম আমি এই ছবি ব’য়ে আসচি ; এ ছবির চিত্রকর প্রকৃতি ! ক্রমে আমি বড় হ’তে লাগলুম কিন্তু কোন দিন সাপকে ভয় করিনি ।—আর সাপও আমার কাছে আসতে অসম্মত হয়নি। ডাকলেই তারা আমার কাছে আসতো, আমিও তাদের পালন ক’বে আসছি । আমার কাছে অনেকগুলি সাপ আছে, তাদের মধ্যে একজন রাজাও আছে সেটি গোখুর!! আমার পিতা বল্লেন “সাধারণের কাছে তুমি সাপের খেলা কর ।" আমি তার ইচ্ছাতেই কাজ করলুম ; সাফল্যও যথেষ্ট লাভ ক’রলুম। অনেক টাকাও উপার্জন হ’ল । প্রায় দু’বছর হ’ল পিতা মারা গেছেন আমিও সেই থেকে দেশে দেশে ঘুরে বেড়াচ্চি। এ পর্য্যস্ত আমি কাকেও প্রণয়ের চোখে দেখিনি, কিন্তু—কিন্তু এখন——!” কুমারী হস্তের মধ্যে মুখ লুকাইয়া কাদিতে লাগিল । আমি তাহাকে জিজ্ঞাসা করিলাম,— “ফস্টাইন্‌! কাল তবে তোমার যাওয়া স্থির ?” সে মস্তক আন্দোলন করিয়া সম্মতি জানাইল । আমি বলিলাম—“বেশ যতক্ষণ এখানে আছ আমার আতিথ্য গ্রহণ কর । তোমার বন্ধুদের যদি ছেড়ে থাকতে না চাও ত’ এইখানে নিয়ে এস। আমার ঘরে এমন একটা জায়গা আছে যেখানে তারা অনায়াসেই থাকতে পারে। আর চাই কি আজ রাত্রে আমায় একবার খেলাও দেখতে পার ।” সে তাহাতে সম্মত হইল । তাহার পর বলিল,—“কিস্তুষ্টিফেনো সৰ্ব্বজ্ঞ বড় হিংসুকেও