পাতা:ভারতী কার্তিক-চৈত্র ১৩২০.djvu/২০৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩৭শ বর্ষ, অষ্টম সংখ্যা শ্লোক প্রাপ্ত হই তাহা হইতে ইহার যথেষ্ট সমর্থনই পাওয়া যায় যথা – “এভদেশপ্রস্বতস্ত সকণশাদগ্রজন্মনঃ। স্বং স্বং চরিত্রং শিক্ষেরন পৃথিবtং সৰ্ব্বমানবাঃ” ॥২০ মনুসংহিতা ২য় অধ্যায়। ‘এই দেশসস্তৃত ব্রাহ্মণগণের নিকট হইতে পৃথিবীর যাবতীয় লোক স্বীয় স্বীয় আচার ব্যবস্থার শিক্ষা করিবে ।” এন্থলে ব্রহ্মর্ষি দেশকে যে সকলদেশেরই আদর্শ বলিয়া নির্দেশ করা হইয়াছে তাহাতেও ইহা সৰ্ব্বাদি আর্য্যোপনিবেশ না হইলেও যে সৰ্ব্বপ্রধান অর্য্যোপনিবেশ তাeার প্রমাণ পাওয়া যাইতেছে। ইহা হইতে আমরা অনুমান করিতে পারি যে আর্য্যদিগের উপনিবেশ অন্তত্ব যেখানেই থাকুক্‌ না কেন ভারতবর্ষে কুরুদেশেই ইহা প্রথম দৃঢ়ভিত্তির উপর সুপ্রতিষ্ঠিত হয়। বস্তুতঃ বেদ পাঠ করিলে আমরা জানিতে পারি যে আর্য্যগণ ব্ৰহ্মাবৰ্ত্তে বা পঞ্জাবে বাসকালে আপনাদের অধিকার লইয়া প্রবল কলহে মত্ত ছিলেন-কেহই নিষ্কণ্টক অধিকার স্থাপনে কৃতকাৰ্য্য হইতে পারেন বিজয় দশমী సి$& নাই। বৈদিক পঞ্চজাতি ও দশ জাতির যুদ্ধের বর্ণনাই তাহার দেদীপ্যমান প্রমাণ। প্রথম উপনিবেশেখই প্রতি যে একটা উচ্চ চিরশ্রদ্ধার ভাব পোষণ করা হইবে তাহা সম্পূর্ণই স্বাভাবিক। কুরুক্ষেত্র আর্য্যদিগের কেবল প্রথম উপনিবেশ ছিল তাহ নহে-পরন্তু ইহার নামের দ্বারা তাহাদিগের মাতৃভূমি উত্তরকুরুর সহিত সংযুক্ত থাকাতে ইহার প্রতি আরও অধিক শ্রদ্ধার ভাব পোষিত হইত ; তাহতেই ইহা তাহাদিগের নিকট পরম পবিত্র তীর্থরূপে পরিগণিত হইয়াছিল। ইহা হইতেই তাহাদিগের নিত্য জপনীয় স্নানমস্ত্রে তাহারা ইহাকে তাহণদের প্রথম পরমতীর্থরূপে স্মরণ করিয়া থাকেন যথা:– “কুরুক্ষেত্ৰং গয়া গঙ্গা প্রভাস পুষ্করাণিচ । তীর্থন্ত্যেতানি সৰ্ব্বণি স্নানকালে ভবন্তীহ ॥” এই প্রকারে আর্য্যগণ র্তাহাদিগের আদি জন্মভূমির ইতিহাসের সহিত ভারতোপনিবেশের ইতিহাস আশ্চৰ্য্যরূপে সংগ্রথিত করতঃ ইহাকে চিরস্মরণীয় ও চিরবরণীয় করিয়া রাখিবার অপূৰ্ব্ব ব্যবস্থা করিয়া গিয়াছেন। শ্ৰীশীতলচন্দ্র চক্রবর্তী। বিজয় দশমী * এ কোন দশমীর তিথি ? তাহ পূৰ্ব্ব সন্নিবিষ্ট বিশেষণেই প্রকাশ– বিজয়া দশমী । বার মাসে চবিবশটি দশমী আসিয়া থাকে, তাহার মধ্যে তেইশটি নির্বিশেষণ–একটি দশমী মাত্র জয়সঙ্কেতে পূর্ণ। পুষ্পবিকাশের পূৰ্ব্বে অস্কুরোদগম হয় বসন্তানিল বহে ; বৃষ্টিবর্ষণের পূৰ্ব্বে মেঘরাশি আকাশে পুঞ্জীভূত হয়, বিদ্যুৎ চমকায় ; ধূমোদগমের পূৰ্ব্বে

  • মাননীয় পণ্ডিত মদনমোহন মালব্যের অনুরোধে

র্তাহার “মর্য্যাদা’ নামক হিন্দী মাসিক পত্রিকার জন্ত ইহা লিখিত হয় । ‘হিন্দী পত্রিকার পাঠক ও বাঙ্গল পত্রিকার পাঠক এক নহে, সেইজন্য ইহা ভারতীতেও প্লেকাশিত হইতেছে।