পাতা:ভারতী কার্তিক-চৈত্র ১৩২০.djvu/২১০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩৭শ বর্ষ, অষ্টম সংখ্যা কোন স্থানের আস্তর ছিল । এষ্টরূপ সুন্দর ইট ২১ খানি ময়মনসিংহের সাহিত্যপরিষদে প্রদর্শিত হইয়াছিল। মসজিদটার দ্বারদেশে অৰ্দ্ধচন্দ্রাকাবে “ল এলাহা ইলাল্লাহ, মহম্মেদে রমুল উল্লাহ ... . . দরজমানে বাদশা সাজাহান” এই কথাগুলি পারস্ত অক্ষরে ক্ষোদিত ছিল । অধিবাসীগণ প্রাচীন কীৰ্ত্তি রক্ষা করিবার জন্য অর্থ সংগ্রহপূর্বক কতক দূর সংস্কৃত করেন । কিন্তু বর্ষার প্রাবল্যে নূতন নিৰ্ম্মিত স্থান পুনরাব ধ্বংস প্রাপ্ত হইয়াছে। বর্তমানে একটী প্রাচীন দেওয়াল ও কতকগুলি ইষ্টকস্ত,প মাত্র রহিয়াছে। মসজিদের সম্মুখস্থ বৃহৎ দীর্ঘিকাটীব জল চাদের মন্দির – বোকাই নগব শ্ৰীযুক্ত সুরেশচন্দ্র ঠাকুর কর্তৃক গৃহীত। কেল্লা বোকাই নগর పెళిని বর্ষাকাল ভিন্ন অঙ্গ সময়ে ব্যবহারোপযোগী হয় না । সাধাবণেব নিকট ইহা “সাহিন খার তালাও” বলিয়া পরিচিত। সাহিন খ মুসলমান রীতি অতিক্রম করিয়া মসজিদের পশ্চিম দিকে এই জলাশয় খনন করিয়াছিলেন । তাহার মান্ত ও সহধৰ্ম্মিণীগণ এই ধৰ্ম্ম বিগর্হিত কর্ষ্যে অশ্রদ্ধা প্রকাশ করায় মসজিদের পূর্বদিকে আরও একটা পুষ্করিণী খনন কবিতে বাধ্য হইয়াছিলেন । দুইটি দীর্ঘিকাই একরূপ দশা প্রাপ্ত হইয়াছে। মসজিদের পশ্চিম দিকের পুষ্করিণীর পশ্চিমে একটী ক্ষুদ্র মঠ কালের কঠোর হস্ত হইতে অস্তিত্ব রক্ষা করিয়া অদ্যপি বিদ্যমান রহিয়াছে। ইহাব গঠনপারিপাট্য ও শিল্পনৈপুণ্য অতি সুন্দর। বটবৃক্ষের তাওবে মন্দিরটি ফাটিয়াছে কিন্তু তবুও ইষ্টকগুলি জমাট অবস্থায় আছে। "চান্দের তালাও” নামে আর একটি পুষ্করিণী এই মন্দির পাশ্বে রহিয়াছে। কেহ কেহ বলেন চাদ রায় নামে কোন এক হিন্দু সন্ন্যাসী কর্তৃক এই মঠ স্থাপিত হইয়াছিল। আবার কাহারও মতে পরগণ ময়মনসিংহের প্রসিদ্ধ জমিদারগণের পুৰ্ব্বপুরুষ শ্ৰীকৃষ্ণ চৌধুরীর পুত্র চান্দ রায় এই মঠ স্থাপিত করেন। ইহাতে কোন বিগ্রহ ছিল কি ন। তৎ সম্বন্ধে নিশ্চয় প্রমাণ পাওয়া যায় না । কেহ কেহ বলেন এখানে শিবলিঙ্গ প্রতিষ্ঠিত