পাতা:ভারতী কার্তিক-চৈত্র ১৩২০.djvu/২২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩৭৭ বর্ষ, সপ্তম সংখ্যা রাত্তিরে ঢুকে থেকে দে ল না, বুড় কি কাণ্ড করে ? রাত্তিবে যে ঘুবে বেড়ায়, কিছু ত কবে!” আমি বল্লুম, “বেশ ! চুবিও কচ্চি ন—-ডাকাতিও কচ্চি না, লোকের মন্দও কিছু কচ্চিন!—চোখ দিয়ে শুধু দেখব বৈ ত নয়, এতে অব দোষ কি ? যতই ভাবতে লাগলুম, কাজটা ততই সহজ বলে মনে হতে লাগল। পাপকে আমার বড় ভয়, পাপ কাজ কিছু যখন কচ্চি না, তপন আবাব ভয় কি ! নিশ্চয়ই আজ রাতে আমি এই কাজ করব । রাত্রে কাজ-কৰ্ম্ম সেবে রাধুনীকে গিয়ে বল্লম, “আমার শরীবটা খাবাপ বৰ্ত্তিবে আজ আর ঠাণ্ড'-টাও লাগাব না, শুতে যাই।” কথাটা কিছু অব মিথ্য বলিনি। কি দেখ ব ? কি রকম করে থাকৃব, এই সব ভেবে ভেদে সত্যিই আমার মাথাটা কেমন একটু টিপটপ কচ্ছিল,— হতে পায়ে অত ঠাণ্ডাতেও ঘাম হচ্ছিল । একবাব কোন গতিকে ঢুকৃতে পাল্লে হয়, তার পর আর কেউ আমার নাগাল পাচ্চেন না ! বাত যখন নিশুতি—কোথাও কোন সাড়াশব্দ নেই, কেবল বাইরেব বাগানে ঝিঝি পোকাগুলোব আওয়াজ অব মাঝে মাঝে দূবে কুকুবেব চিৎকার শোনা যাচ্চে, তখন আমি জুতো খুলে অস্তে আস্তে সেই পুরোণে পর্দা আর কাপেটের গাদির মধ্যে ঢুকে পড়লুম। কেবল দেখবার মত চোখেব কাছে একটু ফাক রেখে সৰ্ব্বাঙ্গ বেশ কবে ঢেকে রাখলুম। খানিক বাদেই ঠিক আমার পাশ দিয়ে জেনাবেল তার শেবার ঘরে ঢুকে হয়েসে, সৌধ-রহস্ত ৭৪৯ দরজা বন্ধ কবে দিলেন, তার পর সব নিস্তব্ধ, চুপ চাপ, একটা আলপিন পড়লেও সে শব্দ শুনতে পাওয়া যায় ! ও গেছ লুম আব কি ! আমায় যদি ব্রাঙ্কদামাবের ইউনিয়ন ব্যাঙ্কে যত টাকা আছে, তাব সমস্ত সে দিতে চায়, তাহলেও ফের আমি সেখানে যাচ্চি না । ওt—সে সব কথা ভাবতে গেলেও পিঠের শির-দাড়াটা বরফের মত জমাট বেঁধে যায়! কন্‌কনামি ধবে ! এই একঘেয়ে নিস্তব্ধতাব মধ্যে চুপ কবে জেগে পড়ে থাকা,--নিশুতিকে জাগিয়ে তোলবার জন্ত কোথাও এতটুকু শব্দ নেই,—কি ভয়ানক । কিন্তু না, একটা শব্দ ছিল— কোথায় দুবে রাস্তায় এক ঘড়ির টক্‌টক্ আওয়াজ হচ্ছিল, প্রথম আমার মনে হয়েছিল, বুঝি, সে আমার বুকেবই শব্দ, কিন্তু ভেবে দেখলুম, তা নয়। বুকের শব্দ এ শব্দের ঢের উপরে উঠ ছিল, ভাগ্যে সেখানে কেউ ছিল না ! তাহলে নিশ্চয় শুনতে পেত। সব চেয়ে কষ্ট হয়েছিল ঐ ধূলোর জন্তে, ছেড়া ময়লা অপবিষ্কার পর্দাগুলো—ক’ত জন্মের ধুলে| যে তার মধ্যে জড় করা আছে । ওঃ অসহ্য যন্ত্রণ। চোখে-মুখে-নাকে ধূলোব কড়ি ঢকে যাচ্ছিল । কাশি বন্ধ করা—কি সে দারুণ কষ্ট ! মৃত্যু-যন্ত্রণ যে লোকে বলে, সে বোধ হয় এমনিই ! মৃত্যুও তাহলে দেখছি বড় ভয়ঙ্কর ! আমার সৰ্ব্বাঙ্গে কাপুনি ধরেছিল—শতে কি ? বোধ হয়, না। কারণ, কপালে যে ঠাণ্ড ঘাম জমা হচ্ছিল, তা আমি বুঝতে পাচ্ছিলুম। মনে করে ছিলুম, আমি যে দালানটায় শুয়ে