পাতা:ভারতী কার্তিক-চৈত্র ১৩২০.djvu/২২৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ఇt* নাই। এখন ভগিনীপতির কথার উত্তরে কহিলেন “সত্যর সঙ্গে বিয়ে দেবে ?” “ক্ষতি কি ? তার যদি দেয় ।” “তা দিলেও দিতে পারে, শিবনারাণ, বাবু চমৎকার লোক,—ধরলে ’ন’ বলতে পারবেন মনে হয় না, কিন্তু” “কি p”

  • র্তারা যে বউকে লাপের বাড়ী রাখেন এমন তো মনে হয় না, অবস্থাপন্ন লোক র্তারা — তাতে পাচটা ময় ।”
  • বেশ তো করি না সাধ মেয়ে শ্বশুর ঘর

করে ?” বিন্ধাবাসিনী একটু বিস্ময় বোধ করিলেন *আপনার যখন আর কোন অবলম্বন গেই ७१न-* অন্ধকার রাত্রে ঘনমেঘের বুক চিবির বেজন ক্ষণপ্রভা চমকিত হয় তেমনি এক ফেষ্টি শুষ্ক হাসি নন্দকিশোরের ওষ্ঠপ্রান্তে "টাই মিলাইল; তিনি কহিলেন “আমি কে বিন্ধ্য ! চির আবর্তনশীল সংসার চক্রের আবর্তনবেগের বিরুদ্ধে বাধা দেবার জামার কি শক্তি আছে ? কারই বা আছে ? দেখ কোথা থেকে কোথায় ব্যাপার গড়াল, বিধাতার খেলা তুমি আমি উপলক্ষ্য হয়ে খেলে যাই বই তো নয়, কেন খেলি, ইচ্ছার বিরুদ্ধে কেন যাই ! কে নিয়ে যায় ? আমাদের চেয়ে শক্তিশালী হস্ত আমাদের টেনে নিয়ে যায় তবে না যাই! তবে ? কি হবে তটশায়ী তরঙ্গের বেগে বাধা দিয়ে ? যা বিধাতার বিধান তারই সাহায্য করতে যাওয়া ভাল। ঐশী শক্তির বিরুদ্ধে দাড়ালে নিজের ধ্বংস অনিবাৰ্য্য ।” ভারতী পৌষ, ১৩২০ নন্দকিশোর চুপ করিলেন ; আঁহার কণ্ঠের মৃদ্ধ কম্পনে মনের আঘাত ধ্যক্ত হইল,—গৌরী যে র্তাহার কন্ঠ নয় এ আকস্মিক সংবাদের বিহবলতা ও ব্যখ। এখনও তাহার মন হইতে ঠিক কাটিয়৷ যায় নাই। নিজের মনকে তিনি নিজেই কত বার প্রশ্ন করিতেছিলেন আমি যে তার মুখে কাদম্বিনীর পূর্ণ সাদৃশু দেখিতে পাই তাও কি আমার ভ্রান্তি ! হইবে, মরীচিকা বোধ হয় ইহাই ! গৌরীর মনে যে র্তাহার প্রতি ভালবাসার একটা কোথায় অভাব রহিয়া গিয়াছে আর তাহার প্রকৃত কারণ র্তাহীদের নিঃসম্পর্কত ইহা ভাবিয় তাহার চিত্ত দ্বিগুণ বেদন বোধ করিল । শেষে নিজেকে তাহার মুখের কাছে উৎসর্গ করাই যুক্তিযুক্ত স্থির করিলেগ । বিন্ধ্যও কি এ ঘটনায় ব্যথা পায় নাই ? পাইয়াছিল বই কি, কিন্তু তথাপি তাহার ব্রহ্মচৰ্য্যপুত নিষ্কার চিত্তে যে বাৎসল্য এই অনাথার জষ্ঠ গাজীবন সঞ্চিত রহিয়াছে সেখানে তো কোন প্রতিদানের অাশা সে কোন দিন রাখে নাই, তাই ভাছার স্নেহউৎসের বেগ যেমন তেমনই রছিল, সে মনে মনে বলিল “নাই হউক সে আমার বোন ঝি, তবু সে আমার সেই গৌরীই ত।” একটু নীরব থাকিয়া নন্দকিশোর পুনশ্চ বিষাদপুর্ণ স্বরে কহিলেন “অন্তর্যামী বুঝি এই অস্তুরেব অপরাধের দণ্ড পাঠিয়ে ছিলেন । “আমার’ বলে- আমি একেবারে মোহে অন্ধ হচ্ছিলাম তাই বুঝিয়ে দিলেন যাকে নিজের বলে কাছছাড়া করতে ভয়