পাতা:ভারতী কার্তিক-চৈত্র ১৩২০.djvu/২৩৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

సె$8 অধিকার স্থাপন হয়, বিজাপুর ও গলক গুl তখনও স্বাধীন। সম্রাট ঔরঙ্গ জীব তাহদের বশীকরণ মন্ত্রণ করিয়া অনেক চেষ্টায় সেই রাজ্যদ্বয়কে দিল্লীসাৎ করেন। ১৫ই অক্টোবর ১৬১৫ সালে বিজাপুর, বর্ষেক পরে গলকগু মোগলরাজ্যভুক্ত হয়, এইরূপ বাজ্য বিস্তারই মোগলরাজের অধঃপতনের কারণ হইল । মুসলমানদের যুদ্ধ বিগ্রহের মধ্যে মহারাষ্ট্রীব মস্তক তুলিয়া উঠিবার সন্ধান পাইল । যদি দক্ষিণে মুসলমান রাজ্য সকল অক্ষুণ্ণ থাকিত তাহা হইলে হিন্দুরাজ্য পুনর্জীবিত হইয়া উঠিত কি না সন্দেহ–ভারতের ইতিহাস হয়ত আর এক ধরণে সংগঠিত হইত। ঔরঙ্গজীবের মৃত্যুর সঙ্গে সঙ্গে মোগলসাম্রাজ্য আত্মরক্ষায় অসমর্থ হইয়া ভগ্নদশ প্রাপ্ত হইল । এদিকে মোগলস্বৰ্য্য অস্তোন্মুখ, ওদিকে কোথা হইতে কালমেঘ উঠিয় অল্পকাল মধ্যে দিগ্বিদিক্‌ আচ্ছন্ন করিয়া ফেলিল । শিবাজী ভোঁসলে ঐ কালমেঘ শিবাজী ভোসলে । শিবাজী একজন অসাধারণ প্রতিভা-সম্পন্ন বীর পুরুষ ছিলেন। র্তাহাব জীবনবৃত্ত উপন্যাসের মত মনোগরী । তাহাকে ছাড়িয়া দিলে মহারাষ্ট্র ইতিহাস অসম্পূর্ণ থাকে। তাঙ্গকে দেখিতে মধ্যমাকৃতি কিন্তু মুগঠন ও গৌরবর্ণ— লক্ষ্যভেদী জল জল চক্ষু, কলম ধরিতে জানেন ন। কিন্তু সকল প্রকার শস্ত্রচালনায় বিলক্ষণ ‘মজবুত, তীক্ষ্ণবুদ্ধি, দূরদর্শী, দৃঢ়প্রতিজ্ঞ ও অধ্যবসায়পূর্ণ, উপায়ের খনি, ধূৰ্ত্তচূড়ামণি। তাহার প্রগাঢ় মাতৃভক্তি ছিল, জননীর চরণধুলি ও আশীৰ্ব্বাদ না লইয়া কোন মহৎ কৰ্ম্মে প্রবৃত্ত হইতেন না । ভারতী পৌষ, ১৩২০ তাহার পিতা সাজাহী বিজাপুব মুলতানের অধীনে জায়গীরদার ছিলেন । পুণায় তাহার জায়গীব, তথায় দাদাজী কোণ্ডু নামক আচার্য্যের হস্তে শিবাজীর শিক্ষার ভার সন্ন্যস্ত হইল। কিন্তু সেই দুর্দান্ত বালকের উপর দ্রোণাচার্য্যের শাসন কতদিন থাটে ? মাওলী বংশীয় চাষীর দল তাহার সঙ্গী— লুটপাট ডাকাতি শিকাব এই সকল কাজেই র্তাহার বিশেষ উৎসাহ । খৰ্ব্বকায় অথচ দৃঢ়িষ্ঠ বলিষ্ঠ মাওলীদের হস্তে অস্ত্ৰ দিয়া শিবাজী তাহীদের মধ্য হইতে রামের বানরসৈন্তবৎ সৈন্ত প্রস্তুত করিলেন। পাহাড়ে দেশে তাহার জন্ম—পশ্চিমঘাট অঞ্চলে যে সকল প্রকৃতিগঠিত তুর্গ আছে তাহ একে একে হস্তগত করিতে লাগিলেন । পাহাড় দুর্গে তাহার বাস, লুটের মাল হইতে র্তাহার ভাণ্ডাব সদাই পূর্ণ। যখন যেমন সুবিধা—কখন বিজাপুরের পক্ষ হইয়া মোগলের বিরুদ্ধে, কখন মোগলসম্রাটের অধীনে বিজাপুরের বিরুদ্ধে অস্ত্ৰধারণ করিয়া নিজকাৰ্য্য সাধিয়া লইতেন। অবশেষে যখন নিজের বল বুঝিলেন— যখন দেখিলেন “পাহাড়ে আগুন লাগিয়াছে” ( ডোঙ্গরাস লাবিলে দিবা ) সকলি প্রস্তুত— তখন মুখোষ ফেলিয়া দিয়া নিজমুৰ্ত্তি ধারণ করিলেন । আফজুল খ৷ ক্রমে শিবাজীর দৌরাত্ম্য অসহ্য হইয়া উঠিল, বিজাপুর-সুলতান আর ধৈর্য্য রাখিতে পারিলেন না। শিবাজীকে দমন না করিলে সে সৰ্ব্বদমন হইয়া উঠিবে এইরূপ চিহ্ন দেখিয়া সুলতান শিবাজীর বিরুদ্ধে সৈন্ত