পাতা:ভারতী কার্তিক-চৈত্র ১৩২০.djvu/২৩৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩৭শ বর্ষ, নবম সংখ্যা শিবাজী রাজ্যসাৎ করিয়া লন । বিজাপুর হইতে দ্বিতীয়বার যে সৈন্তদল প্রেরিত হইল তাহাও পরাস্ত হইল । তৃতীয় যুদ্ধে শিবাজী বড় বিপদে পড়িয়াছিলেন । তখন তিনি সৈন্তাসামন্ত লইয়া পন্থালা দুর্গে অবস্থিতি করিতেছিলেন । বিজাপুরের প্রবল সৈন্ত সেই দুর্গ আক্রমণ করিল—পলায়ন ভিন্ন রক্ষা নাই । শিবাজী কৌশলক্রমে শক্ৰহস্ত এড়াইয়া রঙ্গাণায় সরিয়া পড়িলেন। বিজাপুর সৈন্ত র্তাহাকে ধরিতে র্তাহার পশ্চাদগামী হইল । সেই সঙ্কটে সেনানী বাজি প্রভু এক সহস্র মাগুলী লইয়া আগম নিগমের পাৰ্ব্বত্য সুড়ী পথ আগলাইয়। রহিলেন । ৯ ঘণ্টা কাল তিনি সেইখানে দাড়াইয় শত্রুপক্ষকে প্রতিরোধ করিতে লাগিলেন, র্তাহার তৃতীয়াংশ সেনা মারা পড়িল তবুও তিনি অটল। অবশেষে তোপধ্বনিতে রঙ্গাণায় শিবাজীর নিৰ্ব্বিঘ্নে পৌছিবার সংবাদ পাইয়া নিরস্ত হইলেন। কিছু পরে তিনি নিজেও আহত হইয়া সহাস্ত বদনে প্রাণত্যাগ করেন। বাজি প্রাচীন গ্রীে সহিত তুলনা করা যাইতে পারে। রঙ্গাণ পথের এই দুর্গম স্থান মারাঠা সমরের Thermopylae offif, ইহার পরেও কতবার বিজাপুর রাজ শিবাজীর বিরুদ্ধে সৈন্ত প্রেরণ কবেন কিন্তু র্তাহার সমুদায় চেষ্টা ব্যর্থ হইল, পরিশেষে নিতান্ত নিরুপায় দেখিয়া তাহার সহিত সন্ধি বন্ধনে পরিত্রাণ পাইলেন। ফলে কল্যাণ হইতে গোওয়া পৰ্য্যন্ত সমুদয় কোঙ্কণ প্রদেশ এবং ভীমা হইতে বারণা নদী পর্য্যন্ত ঘাট আমার বোম্বাই প্রবাস في واج শ্রেণীর প্রদেশ সমূহ, দক্ষিণে ১৬০ মাইল পূৰ্ব্বে ১০০ মাইল ব্যাপিয়া শিবাজীর অধিকারভুক্ত হইল । এখনো কিন্তু সকল শঙ্কট দূর হয় নাই— বিজাপুরের আক্রমণ হইতে রক্ষা পাইয়৷ আবার মোগলের কোপচক্রে পতিত হইলেন। এক ফাড় গিয়া অার এক ঘোরতর ফাড় উপস্থিত। এই বিষম শঙ্কট হইতে শিবাজী কি কৌশলে উদ্ধার পাইলেন তাহ বর্ণনাযোগ্য। ১৬৬২ সালে মোগলের সহিত র্তাহার যুদ্ধারম্ভ হয়। অতঃপর দক্ষিণের মোগল প্রতিনিধি সায়েস্ত! খ শিবাজীকে শাসন করিতে সৈন্তসামন্ত সমভিব্যাহারে বাহির হইলেন । শিবাজীর সৈন্ত ছিন্ন ভিন্ন করিয়া নবাব পুণায় আসিয় আড করিলে শিবাজী র্তাহার সিংহগড় দুর্গে প্রবেশ করিলেন । নবাব তাহাকে লিখিয়া পাঠান —“তুমি মৰ্কট বানরের মত পাহাড়ের উপর বসে থাক— যুদ্ধের বেলায় কেল্লায় বন্ধ থেকে এগোতে সাহস কর না, এবার আমি তোমাকে গ্রেপ্তার না করে ছাড়ব না।” শিবাজী উত্তব লেন—“আমি বানর সত্য কিন্তু সেই দ্য বানরের জাত যারা রাবণ বধ করে লঙ্কা রছিল। আমি তোমাকে এমন জদ্ধ করফু যে পালাবার .*} পাবে না।” বাস্তবিক ॐशब কথাই ঠিক হইল। নবাব যে বাড়ীতে ছিলেন তাহা এক সময়ে শিবাজীর বাসগৃহ ছিল, নাম লালমহল, তিনি তাহার অস্তর বাহির .অন্ধি সন্ধি সকলি ভাল করিয়া জানিতেন। সায়েন্ত খাঁ সেনা-পরিবৃত— বাহির হইত্তে শক্রর আক্রমণ নিবারণের জন্ত