পাতা:ভারতী কার্তিক-চৈত্র ১৩২০.djvu/২৪০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩৭শ বর্ষ, নবম সংখ্যা আর একটা ফন্দী করিলেন। ফকীর কাঙ্গালীদের মিষ্টান্ন ও আর আর দ্রব্য বিতরণ করা, নিত্য কৰ্ম্মের মধ্যে র্তাহার এক কাজ হইল, ঐ সকল সামগ্ৰী বড় বড় চুবড়ী করিয়া পাঠান হইত। এইরূপে কিছুদিন . যায়, একরাত্রে তিনি নিজে একটা চুবড়ীর মধ্যে লুকাইয়া পুত্রটিকে আর একটায় পুরিয়া দুই বাহকের স্কন্ধে বাহির হইলেন, দ্বারপালের অভ্যাসবশতঃ ওদিকে বড় লক্ষ্য করিল না । র্তাহাব শয্যায় একজন ভৃত্যকে রাখিয়া দিলেন, অনেকক্ষণ পর্য্যস্ত র্তাহার পলায়ন কেহ সন্দেহ করিতে পারে নাই । তাহার জন্ত একস্থানে অশ্ব প্রস্তুত ছিল তাহাতে চড়িয়া পুত্রকে সঙ্গে বসাইয়া লইয়া সেই যে একটানা চলিলেন আর কেহই তাহাকে ধরিতে পারিল না । মথুৰায় আসিয়া মস্তক মুগুন ও ভষ্মলেপন পূৰ্ব্বক সন্ন্যাসীর বেশ ধাবণ করিলেন। পুত্রকে সেপানেই রাখিয়া গেলেন, বেচাবা এমন শ্রান্ত ক্লান্ত হইয় পড়িয়াছিল যে আর নড়িবার শক্তি ছিল না । তথা হইতে আলাহাবাদ, আলাহাবাদ হইতে কাট- 5 গয়াতীর্থ, গয় - হাইদ্রাবাদ, এইরূপে ৮ মাসের মধ্যে স্বদেশে ফিরিয়া আসিলেন। ফিরিয়া আসিয়া রাজগড়ের কেল্লায় তাহার মাতা জীজাবার সহিত সাক্ষাৎ করিতে যান। একদিন হঠাৎ দুই জন বৈরাগী জীজাবার দ্বারে আলিয়া উপস্থিত। জীজাবা তাহদের ডাকিয়া পাঠাইলে, একজন দস্তুর মত র্তাহাকে আশীৰ্ব্বাদ করিলেন, অন্তজন পাগড়ী খুলিয়া তাহার চরণে প্রণত হইলেন। মাথায় চিন্তু দর্শনে আপনার পুত্রকে চিনিতে পারিয়া জীজাবা তঁহাকে স্নেহভরে আমার বোম্বাই প্রবাস స్క్రిస్ আলিঙ্গন করিলেন। অনেকদিন পরে পুত্রকে পাইয়া জিজাবার আর আনন্দের সীমা. রহিল না। সেদিন কাঙ্গালীদিগকে অন্নদান, তোপধ্বনি ও বাদ্যেছমের ধুম পড়িয়া গেল, নরনারী ছোট বড় সকলেই আনন্দোৎসবে মগ্ন হইল। এই প্রকারে অশেষ বিঘ্ন বিপত্তি অতিক্রম করিয়া শিবাজী অল্পে অল্পে তাহাব রাজ্য বিস্তার করিতে লাগিলেন, নৰ্ম্মদ হইতে কৃষ্ণ নদী পর্য্যন্ত দক্ষিণ ভারতবর্ষ তাহার অধীন হইল। ‘চৌথ’ ও ‘সরদেশমুখী’ এই দ্বিবিধ কর আদায় করিবার পরওয়ান প্রথম দক্ষিণাত্যের রাজাদের নিকট হইতে পাইয়াছিলেন, পরে রীতিমত বাদসাহী পরওয়ান লাভ করিলেন। ৬ই জুন ১৬৭৪ খৃষ্টাব্দে তিনি রাজা পদবী গ্ৰহণ করিয়া রাজগড়ে মহা ধুমধাম করিয়া রাজ্যাভিষিক্ত হইলেন। এই উপলক্ষে আপনাকে স্বর্ণস্তুপে ওজন করিয়া স্বীয় দেহভার পরিমাণ স্বর্ণরাশি ব্রাহ্মণদেব মধ্যে বিতরণ করত অতুল থ্যাতি প্রতিপত্তি লাভ করিলেন। ৫ই এপ্রেল ১৬৮১ খৃষ্টাব্দে ৫৩ বৎসর বয়েসে রায়গড়ে তাহার মৃত্যু হয়। শিবাজীর মৃত্যুকালে তাহার রাজ্যাধিকার ন্তি ছিল না । গুণ্ডাবী হইতে পাণ্ড ( ইংরাজ ও পোৰ্ত্ত গীদের কোন aজ বাদে) কোঙ্কণের স্ববিস্তীর্ণ ক আবার তে জুনের ত মারাঠা – কত গিরি দুর্গ সমেত উহার অধিকারভুক্ত ; কারওয়ার অঙ্কোল প্রভৃতি কতকগুলি সমুদ্র তীরবর্তী স্থানে তাহা তাহা ছাড়া দ্রাবিড় তাহাব স্ট্রিলিত ভূখণ্ড সঙ্কল প্রক্ষিপ্ত। দক্ষাবৃত্তি