পাতা:ভারতী কার্তিক-চৈত্র ১৩২০.djvu/২৪১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

第铃峰 হইতে শিবাজীর জীবনের.অরম্ভ-অসীম রাজ্যের অধীশ্বর হইয়া তিনি জীবনযাত্রী শেষ করেন । - শিবাজীর শাসন প্রণালী । শিবাজী রাজার অভু্যদয়ের প্রথম অবস্থায় র্তাহার রাজ্যের আয়তন কতটুকু ছিল অল্পকালের মধ্যে সেই রাজ্য যে কি বিপুল বিস্তার লাভ করিল তাহ! ভাবিয়া দেখিলে আশ্চৰ্য্য হইতে হয়। শিবাজীর শেষাবস্থায় দক্ষিণাত্যে র্তাহার প্রতাপ অতুলন, তাপ্তীনদী হইতে কাবেরী পর্যন্ত হিন্দু মুসলমান সকল রাজার রাজেশ্বররুপে তিনি একবাক্যে গৃহীত হইলেন । শিবাজী রাজার রাজ্যলাভে যেমন চতুৰ্য্য, রাজ্যসংগঠন ও শাসনকাৰ্য্যেও তেমনি তিনি মুদক্ষ ছিলেন। অর্জন ও রক্ষণ ক্ষমতা র্যার একাধারে এইরূপ যোগক্ষেমসম্পন্ন মহাপুরুষ পৃথিবীর ইতিহাসে বিরল। শিবজীকে সেই মহাপুরুষদের আসনে স্থান দিতে হয়। র্তাহার রাজ্যশাসনপ্রণালী বিচার যোগ্য, অধুনাতন সভ্যজগতের মাপদও দিয়া মাপিয়া দেখিলেও তাহাকে হেয় জ্ঞান ক যায় না । সংক্ষেপে তাহার বিশেষ লক্ষণ নিম্নে প্রদর্শিত হইতেছে — বলেন শিবাজী রাজ গিরিদুর্গ হস্তগত করেন নির্মাণ ও সংস্কার কার্ঘ্যে । মনোযোগী ছিলেন, তাহাঙ্গে छांब्राउँौ পৌষ, ১৩২০ স্বত্বই, অর্থব্যয় হউক না কেন কিছুমাত্র শৈথিল করিড়েন না । শক্র আক্রমণ বল, আত্মরক্ষাই বল, মারাঠী রাজ্য স্থাপনের সময় প্রথম প্রথম দুয়েতেই এই সকলু দুর্গের বিশেষ উপযোগিতা ছিল । এই সকল বন্ধনী মারাঠী সাম্রাজ্যের বন্ধন, বিপদের সময় ইহারাই রক্ষা-কবচরূপে ব্যবহৃত হইত। এই সকল দুর্গ যাহাতে স্বরক্ষিত থাকে শিবাজী তাহার রীতিমত ব্যবস্থা করিতে ক্রটি করেন নাই ৷ দুৰ্গরক্ষণে একজন মারাঠা হাওয়ালদার ও তাহার কয়েকজন সহকারী নিযুক্ত ছিল । তাহার দেওয়ানী ও রেবেক্ষ্য কাৰ্য্যভার একজন ব্রাহ্মণ সুবেদারের হাতে— দুৰ্গেৰ অধীনস্থ গ্রাম সমূহের কার্য্য তাঙ্গার অন্তর্গত। আর একজন প্রভুজাতীয় কৰ্ম্মচারী ধান্ত ও রসদ যোগাইবার ও জীর্ণসংস্কারের কাজে নিযুক্ত। এইরূপ বিভিন্ন তিনবর্ণের লোক এক কৰ্ম্মসুত্রে বাধা, পরস্পরের প্রতিযোগিতায় স্বগৃঙ্খলভাবে কাৰ্য্য চলিত। নীচে রামোসী প্রভৃতি নিকৃষ্টজাতীয় লোকের নিযুক্ত থাকি ত । দুর্গের রে দুর্গপালের ংখ্যা এক একজন নায়কের অধীনে নয় জন সিপাই ; বন্দুক, তলবার, বর্ষ। পট্টী—এই সকল অস্ত্রে তাহারা সুসজ্জিত ৷ ইহারা সকলে আপন আপন পদ ও কৰ্ম্মমুসারে বেতনভোগ করিত। গিরিদুর্গ হইতে নীচে সমান জমিতে আসলে তার অন্ত প্রকার ব্যবস্থা । শিবাজীর পদাতিক ও অশ্বারোহী সৈনিকদের সম্বন্ধে যে সকল নিয়ম প্রচলিত ছিল উল্লিখিত নিয়মাবলী তাহার নকল মাত্র। পৃদ্ধতিক সৈন্যদলের নেতৃত্ব সম্বন্ধে নিয়ম এই ;